রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন করে জাগছে স্কোয়াশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন করে জাগছে স্কোয়াশ

নতুন করে জাগছে বাংলাদেশে ‘মৃতপ্রায়’ ক্রীড়া ইভেন্ট স্কোয়াশ। এক সময় নিয়মিত খেলা হতো। এসএ গেমসে স্কোয়াশ থেকে পদকও আছে বাংলাদেশের। সেই স্কোয়াশ যেন ‘কোমায়’ চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে তুলে এনে এই ক্রীড়া ইভেন্টে নতুন করে জাগরণ তোলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ স্কোয়াশ র‌্যাকেট ফেডারেশন। 

এখন নিয়মিত স্কোয়াশের টুর্নামেন্ট হচ্ছে। বিদেশ থেকে কোচ এনে অনুশীলন করানো হচ্ছে।

এখন দেশের বাইরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের পাঠানো হচ্ছে। আজ ‘৩০তম এশিয়ান যুব স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এ অংশ নিতে চার সদস্যের একটি যুব স্কোয়াশ দল চীন যাচ্ছে। এরপর ২৪ আগস্ট মেয়েদের আরেকটি দল যাচ্ছে ভারতে।

বাংলাদেশ স্কোয়াশ র‌্যাকেট ফেডারেশন তাদের ‘ভীষণ-২০২৫’ সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। ফেডারেশনের সভাপতি লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান (অব.) গতকাল স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে গিয়ে খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

দেশের ‘মৃতপ্রায়’ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে তৎপর ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.)। তার নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে স্কোয়াশের এই নবজাগরণ। তিনি ‘ক্লাসরুম স্কোয়াশ’ নামে একটি পদ্ধতি চালু করেছেন। এ পদ্ধতির মাধ্যমে যে ক্লাসরুমে বিদ্যালয়ের পাঠদান করা হয় সেখানেই স্কোয়াশ খেলা যায়। আলাদা কোনো জায়গার প্রয়োজন হয় না। কামরুলের পদ্ধতি অনেক স্কুলই গ্রহণ করেছে। যে কারণে স্কোয়াশের প্রতি তরুণদের আগ্রহও বাড়ছে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেছি। বিদেশ থেকে কোচ নিয়ে এসে অনুশীলন করাচ্ছি। শুধু তাই নয়, খেলা না হওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় যেসব স্কোয়াশ কোর্ট পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল তা নতুন করে চালু করেছি। অনেক জায়গায় কোর্ট দখল হয়েছিল, সেগুলোও উদ্ধার করেছি। আমি চেষ্টা করছি, স্কোয়াশকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর