মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই বাংলার দুই জায়ান্ট মুখোমুখি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুই বাংলার দুই জায়ান্ট মুখোমুখি

যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের সল্টলেক স্টেডিয়াম দর্শক উন্মাদনায় মেতে উঠবে আজ। দুই বাংলার ফুটবল জায়ান্ট কলকাতা মোহনবাগান সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এএফসি কাপে প্লে-অফ ম্যাচের লড়াই। যারা জিতবে গ্রুপপর্বে জায়গা করে নেবে। নকআউট ম্যাচ। নির্ধারিত কিংবা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে ফল না হলে ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে। প্লে-অফ হলেও দুই দলের কাছে ম্যাচটি ফাইনালে পরিণত হয়েছে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে আবাহনী ২-১ গোলে হারায় মালদ্বীপের ঈগলসকে। অন্যদিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট নেপালে মাচিন্দ্রা এফসিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। আজকের বিজয়ী দল গ্রুপ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস, ওড়িশা এফসি ও মাজিয়ার সঙ্গে খেলবে।

আবাহনী জিতে গেলে এশিয়ান ক্লাব পর্যায়ে বাংলাদেশের দুটি ক্লাব প্রথমবারের মতো এএফসি কাপে গ্রুপপর্বে খেলবে। প্রশ্ন হচ্ছে- পারবে কি আবাহনী? কলকাতার মাঠে ভারতীয় শক্তিশালী কোনো ক্লাবকে হারানোটা সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ। আবাহনীই বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব কলকাতায় টুর্নামেন্ট খেলতে যায়। ১৯৭৪ সালে প্রথম বিভাগ লিগে চ্যাম্পিয়নের পর আইএফএ শিল্ডে অংশ নেয়। তবে অভিষেকটা সুখকর হয়নি। ভারতের মাটিতে আবাহনী নাগজি ট্রফি ও চামস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারপরও সল্টলেকে মোহনবাগানকে হারাবে অনেকের কাছে অবিশ্বাসই মনে হচ্ছে। তবে সল্টলেকে এএফসি গ্রুপপর্বের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে হারায় ইন্ডিয়ান লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালাকে। কিন্তু মোহনবাগানের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। এএফসি কাপে এর আগে আবাহনী-মোহনবাগান তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। পরিসংখ্যানে ভারতীয় জায়ান্টরাই এগিয়ে। মোহনবাগান দুই জয় ও একটি ম্যাচ ড্র করে।

একে তো ঘরের মাঠ। তারপর আবার পরিসংখ্যান ও শক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে। তবে আবাহনীর লক্ষ্য একটাই- জয়। গতকাল ঢাকা ছেড়ে কলকাতায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলের জায়ান্ট। যাওয়ার আগে আশার কথা শুনিয়ে গেছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ ম্যারিও লেমোস। ‘আরও আগে গেলে ভালো হতো। অনুশীলন করে মাঠ সম্পর্কে ধারণা পেতাম। তারপরও আমাদের সামর্থ্য রয়েছে ম্যাচ জেতার।’ দলীয় ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপুও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ‘দোয়া করবেন জয় নিয়ে আমরা যেন দেশে ফিরতে পারি।’ আবাহনী প্লে-অফের পেছনে কৃতিত্ব তো দিতে হয় মূল ভরসা ধারে নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের। তাদের অন্তর্ভুক্তিতে আবাহনীর শক্তি বেড়েছে। কিন্তু মোহনবাগানে বিদেশি ছাড়াও মানসম্পন্ন লোকাল খেলোয়াড় রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড কেসন কামিন্সই মোহনবাগানের মূল ভরসা।

 

 

সর্বশেষ খবর