শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিশন এশিয়া কাপ

আগামীকাল দুপুরে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন সাকিবরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিশন এশিয়া কাপ

কানাডা গ্লোবাল টি-২০ টুর্নামেন্ট ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলে বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। যোগ দিয়েই সাকিব ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে। হেড কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহের সঙ্গে আলাপে ৩০ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপে দলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। এশিয়া কাপে দলকে সাফল্য পেতে কী করতে হবে, সে বিষয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। ছয় জাতির এশিয়া কাপে সাকিব বাহিনী খেলছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান গ্রুপে। টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবং ৩ নভেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সুপার ফোরে খেলতে লিগ পর্বে দুই দলের যে কোনো একটিকে হারাতে হবে। কঠিন কাজ। তারপরও আশাবাদী টাইগার অধিনায়ক সাকিব। টাইগার অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশকে এখন প্রমাণ করার সময়। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে থাকা টাইগাররা প্রথমবারের মতো এশিয়ার সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-তিন চ্যাম্পিয়ন থাকার পরও বাস্তবতার সমীকরণে কি সেটা সম্ভব?     

এশিয়া কাপ শুরু ১৯৮৪ সালে। এবার বসছে ১৬তম আসর। বাংলাদেশ নিয়মিত খেলছে ১৯৮৬ সাল থেকে। তিন আসরে ফাইনাল খেলেছে। এশিয়া কাপ এখন দুই ফরম্যাটে হয়। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের খেলাগুলো হয় ৫০ ওভারের। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এশিয়া কাপে ম্যাচগুলো ২০ ওভারের। অক্টোবর-নভেম্বর ১০ জাতির বিশ্বকাপ। সে হিসেবে এবার এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো হবে ৫০ ওভারের। এ সমীকরণের হিসেবে এবারের এশিয়া কাপ সাকিবদের জন্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরাই যায়।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছে ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে। ২০১২ ও ২০১৬ সালে ফাইনাল খেলেছে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২০১২ সালে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের টি-২০ ফরম্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল ২ উইকেটে। দুবাইয়ে ২০১৮ সালের ফাইনালে ভারতের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছিল। ২০২২ সালে লিগ পর্ব টপকাতে পারেনি। টি-২০ ফরম্যাটের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল ২ উইকেটে। এবারও দুই দলের বিপক্ষেই খেলবে গ্রুপ পর্বে। এশিয়া কাপে দুই দলের বিপক্ষে পরিসংখ্যানে পিছিয়ে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপে ম্যাচ খেলেছে ১৫টি। টাইগারদের জয় সাকল্যে ৩টি। ২০১২ সালে ৫ উইকেটে, ২০১৬ সালে ২৩ রানে এবং ২০১৮ সালে ১৩৭ রানে জিতেছিল। এবার কি জিততে পারবে সাকিবরা?

দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৮ এবং আফগানিস্তানের ৬। টি-২০ পরিসংখ্যানে আবার আফগানরা এগিয়ে। ১১ ম্যাচে টাইগারদের ৫ জয়ের বিপরীতে আফগানিস্তানের জয় ৬টি। এশিয়া কাপেও আফগানরা এগিয়ে। ২০১৪ সাল থেকে দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলছে। ৪ মুখোমুখিতে সাকিবরা জিতেছেন ২০১৮ সালে। সুপার ফোরে জিতেছিলেন মাত্র ৩ রানে। গ্রুপ ম্যাচে হেরেছিলেন ১৩৬ রানে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে আফগানরা জিতেছিল ২৩ রানে এবং ২০২২ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপে রশিদ খানরা জিতেছিলেন ৭ উইকেটে।

গ্রুপপর্ব টপকাতে সিনিয়র, জুনিয়রদের পারফরম্যান্স করতে হবে। এক্ষেত্রে অধিনায়ক সাকিব মিস করবেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে।

যিনি পিঠের ব্যথায় নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। মিস করবেন ডান হাতি পেসার ইবাদত হোসেনকে। দুজনের জায়গায় প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন তানজিম হাসান তামিম ও তানজিদ সাকিবকে। সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে গড়া দল নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে হবে সাকিবকে।

সর্বশেষ খবর