বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
এশিয়া কাপ সুপার-৪

শেষ ৩ রানে ৪ উইকেট

শেষ ৪ উইকেট হারায় ৩৭.২ ওভার থেকে ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ৩ রানে। সাকিব ৫৩ ও মুশফিক ৬৪ রান করেন।

আসিফ ইকবাল

শেষ ৩ রানে ৪ উইকেট

সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ১০০ রানের জুটি।

নিয়মিত ৩০০ রানের ইনিংস হচ্ছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেটে। আফগানিস্তান ম্যাচে ৩০০-ঊর্ধ্ব রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং উইকেটের পুরোপুরি সহায়তা নিতে টাইগারদের একাদশে ছিলেন আট স্পেশালিস্ট ব্যাটার। তার পরও বাংলাদেশের স্কোর ১৯৩! বাকি ছিল ১১.২ ওভার বা ৬৮ বল। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম বাদে বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০০-এর ঘর টপকাতে পারেননি টাইগাররা। অথচ পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব ও মুশফিক যতক্ষণ ব্যাটিং করেছেন, ততক্ষণই ৩০০-৩৫০ রানের স্বপ্ন দেখেছিলেন টাইগাররা। দলের সেরা দুই ব্যাটার দলের চরম বিপর্যয়ে ২০ ওভারে যোগ করেন কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান। দুই ব্যাটারের দৃঢ়তার পরও পাকিস্তানি চার পেসারের গতি, সুইং ও বাউন্সারে টাইগাররা শেষ ৪ উইকেট হারান ৩৭.২ থেকে ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ৩ রানে। সাকিব ৫৩ ও মুশফিক ৬৪ রান করেন। কম স্কোরের জন্য বাজে ব্যাটিংকে দোষারোপ করেন টাইগার অধিনায়ক, ‘দলের ব্যাটিং বিপর্যয়েও আমাদের জুটি (সাকিব-মুশফিক) ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের আরও ৭-৮ ওভার ব্যাটিং করা উচিত ছিল। এ উইকেটে খুব বাজে ব্যাটিং করেছি আমরা।’

জ্বরের জন্য লিগ পর্বের দুই ম্যাচ খেলেননি লিটন দাস। টাইগারদের সুপার ফোর নিশ্চিতের পর তিনি উড়ে যান লাহোর। যদিও তার খেলার সম্ভাবনা কম ছিল। বিসিবির অনুরোধে এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরিতে খেলার সুযোগ পান। তবে বড় স্কোর করতে পারেননি ডান হাতি ড্যাসিং ক্রিকেটার। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য গতকাল খেলেননি নাজমুল শান্ত। অথচ চলতি আসরে টাইগারদের দলের সবচেয়ে ছন্দোময় ক্রিকেটার শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চরম বিপর্যয়ে রান করেছিলেন ৮৯। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জীবন বাজির ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে জোড়া সেঞ্চুরি করেন। দুজনে জুটি বেঁধে যোগ করেছিলেন ১৯৪ রান। মিরাজ ১১২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট করেন। শান্ত খেলেছিলেন ১০৪ রানের ইনিংস। আফগান ম্যাচে পানির শূন্যতায় ভুগে হামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে তার। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেভিওয়েট ম্যাচে শান্তকে ছাড়া খেলেছে সাকিব বাহিনী। ওপেন করেন মেহেদি মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। টস জিতে দুই ওপেনার ব্যাট করলেও বড় স্কোরের ভিত দিতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই নাসিমের বলে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। মুখোমুখির প্রথম বলেই আফগান ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ ক্যাচ দেন ফখর জামানকে। শূন্য রানে ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাঈম-লিটন ৩০ রান যোগ করেন ২২ বলে। দলীয় ৩১ রানে লিটন আউট হন শাহিন আফ্রিদির বলের বাউন্স ঠিকমতো বুঝতে না পেরে। তিনি ১৬ রান করেন ১৩ বলে ৪ চারে। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন বাঁ হাতি ওপেনার নাঈম। বড় স্কোরের আশা জাগিয়েও ২৫ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। দশম ওভারের প্রথম বলে তৌহিদ হৃদয়কে বোল্ড করেন ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া হারিস রউফ। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল পুরোপুরি কোণঠাসা। তখন হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক।

ওপরের সারির ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে, তখন জুটি বাঁধেন সাকিব ও মুশফিক। দুজনে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ১০০ রানের জুটি গড়েন মাত্র ২০ ওভারে। সাকিবের ২৩৮ ম্যাচে ৫৪তম হাফসেঞ্চুরির ইনিংস ছিল ৫৩ রানের। ৫৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার। মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংসটি ছিল ২৫৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৬তম হাফসেঞ্চুরি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে সাকিব খেলেছিলেন হাফসেঞ্চুরির ইনিংস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর