শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

টাইগারদের সামনে এবার লঙ্কা

আগামীকাল শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টাইগারদের সামনে এবার লঙ্কা

‘আমাদের ব্যাটারদের আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়েছিলাম। এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি পরের ম্যাচগুলোর। আমরা সব সময় বড় ম্যাচের জন্য তৈরি।’

 

এশিয়া কাপে সাকিবদের পাকিস্তান মিশন শেষ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ‘হাইব্রিড’ এশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের উচ্ছ্বাস এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে গতকাল লাহোর ছেড়েছেন সাকিবরা। সুপার ফোরের অবশিষ্ট দুটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গতকাল বিকালে পা রেখেছে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। দ্বীপরাষ্ট্রে একটি ম্যাচ অবশ্য আগেই খেলেছে সাকিব বাহিনী। আসরের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল ৫ উইকেটে। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে আগামীকাল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনাল ১৭ সেপ্টেম্বর। সুপার ফোরে খেলছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরের শীর্ষ দুটি দল খেলবে ফাইনাল। আসরের ফাইনাল খেলতে সাকিবদের পরের দুটি ম্যাচে জিততেই হবে। হারাতে হবে শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে।

সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে পেসারদের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে। টাইগার ব্যাটাররাও বাজে ব্যাটিং করেছেন। ব্যাটারদের দোষারোপ করার পর টাইগার অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী পরের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলার, ‘আমাদের ব্যাটারদের আরও ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়েছিলাম। এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি পরের ম্যাচগুলোর। আমরা সব সময় বড় ম্যাচের জন্য তৈরি। পরের ম্যাচে শতভাগ উজাড় করে দিতে আমরা প্রস্তুত।’ শ্রীলঙ্কার ম্যাচে খেলবেন লিটন দাস। সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যিনি হ্যামস্ট্রিংয়ের টানের জন্য খেলেননি পাকিস্তান ম্যাচে।      সাকিব বাহিনী এশিয়া কাপের ১৬তম আসর শুরু করেছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৬৪ রান করে হেরেছিল ৫ উইকেটে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে খেলে সাকিবরা পরের দিন উড়ে যান লাহোরে। টাইগাররা ২০০৮ সালের পর পাকিস্তানে খেলতে যায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জীবন বাজির ম্যাচে জয় পায় ৮৯ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ রান করে টাইগাররা। মেকশিফট ওপেনার মেহেদী মিরাজ ১১২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন। নাজমুল শান্ত আউট হন ১০৪ রানে। তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ৮৯ রান করেছিলেন।

সুপার ফোরে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সাকিব ও মুশফিক ছাড়া বাকি ব্যাটারদের বাজে ব্যাটিংয়ে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায়। অথচ উইকেট ছিল পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। ৪৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর সাকিব-মুশফিক জুটি বাঁধেন পঞ্চম উইকেটে। ২০ ওভারে দুজনে যোগ করেন কাটায় ১০০ রান। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। সাকিব ৫৩ ও মুশফিক ৬৪ রান করেন। টাইগার ব্যাটিং লাইনকে অবশ্য বেঁধে রাখেন পাকিস্তানের চার পেসার শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও ফাহিম আশরাফ। ১৮৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে টাইগার পেসাররা লড়াই করেছে। যদিও ৭ উইকেটে হেরেছে ১১.৩ ওভার আগে। তারপরও সমীহ আদায় করে নিয়েছেন তাসকিন, শরিফুল, হাসানরা।

এশিয়া কাপের এখন সব খেলাই হবে শ্রীলঙ্কায়। টাইগাররা খেলেছে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে। ৯ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যাচ দুটি খেলবে কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। এ মাঠে এর আগে আরও ৯টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে সবই। ২০০২ সালে ৫৮ রানে, ২০০৪ সালে ১০ উইকেটে, ২০০৫ সালে ৬ উইকেট ও ৭৫ রানে, ২০০৭ সালে ৩৯ রান ও ৫ উইকেটে এবং ২০১৯ সালে ১২২ রান, ৭ উইকেটে ও ৯১ রানে হেরেছিল। পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে। ফাইনালে স্বপ্নে বিভোর সাকিব বাহিনীকে পরিসংখ্যানের দিকে না তাকিয়ে জিতেই মাঠ ছাড়তে হবে।

সর্বশেষ খবর