শিরোনাম
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধীরগতির উইকেটেও পেস দাপট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস করতে মাত্র ৭ রান দরকার ছিল সাদিরা সামারাবিক্রমার। ৫০তম ওভারের তখনো বল বাকি দুটি। সেঞ্চুরি করতে পঞ্চম বলে চার-ছক্কা খুবই জরুরি বিক্রমাসিংহের। কিন্তু তাসকিন আহমেদের স্লোয়ার ঠিকমতো বুঝতে পারেননি তিনি। রানও নিতে পারেননি। হতাশায় নুয়ে পরা ডানহাতি ব্যাটার শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে চাইলেন। ধরা পড়লেন ডিপ মিড উইকেটে বদলি ফিল্ডার আফিফ হোসেনের হাতে। সেঞ্চুরির আক্ষেপ রয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটারের।  গতকাল সুপার ফোরে নিজেদের বাঁচামরার ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেঁধে রাখেন টাইগার বোলাররা। তিন পেসার তাসকিন, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তবে তিন পেসারের তুলনায় মিতব্যয়ী ছিলেন তিন স্পিনার সাকিব, নাসুম ও মিরাজ। যদিও অধিনায়ক সাকিব বোলিং নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি, ‘সত্যি বলতে আমরা ভালো বল করিনি।’

কলম্বোর প্রেমাদাসা উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে দলটির সর্বোচ্চ স্কোর ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৪। ৩০০-এর ঘরে রান না করলেও স্কোর বোর্ডে এই রান নিয়ে অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেন ৭২ বলে ১২৯.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৯৩ রান করা সাদিরা বিক্রমাসিংহে, ‘এই পুঁজিতে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ রান তোলা সহজ ছিল না। বল ধীরে আসছিল। শট খেলতে হয়েছে ধীরে।’

১৭ সেপ্টেম্বরের ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না সাকিব বাহিনীর। গতকাল জীবন বাজির ম্যাচটি ২১ রানে হেরে যায় টাইগাররা। ২৫৮ রানের টার্গেটে সাকিব বাহিনী অলআউট হয় ২৩৬ রানে। হারের পর অধিনায়ক সাকিব একটা জুটির অভাবের কথা বলেন, ‘ম্যাচটি জিততে আমাদের ৮০ থেকে ১০০ রানের জুটি জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।’ একাদশে অলরাউন্ডার আফিফকে বসিয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে খেলান অধিনায়ক সাকিব। দীর্ঘকায় বাঁ-হাতি স্পিনারও আস্থার প্রতিদান দেন। উইকেট পাননি তিনি। কিন্তু মিতব্যয়ী বোলিং করেন নাসুম। তার স্পেল ১০-১-৩১-০। ডট বল নেন ৩৬টি। অধিনায়ক সাকিবও ছিলেন উইকেটশূন্য। তার স্পেল ১০-০-৪৪-০। ডট নেন ৩০। দুই বাঁ-হাতি স্পিনার ডট নেন ৭৬টি! অফ স্পিনার মেহেদি মিরাজের স্পেল ৩-০-১৪-০। ডট নেন ৯টি। তিন স্পিনার নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ২৩ ওভারে রান দেন মাত্র ৮৯। তিন স্পিনার ১৩৮ বলের মধ্যে ডট নেন ৮৫।

মরণ-বাঁচন ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করে টাইগাররা। বৃষ্টি না হলেও কলম্বোর আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। আসরে দুই এর আগে আরও একবার মুখোমুখি হয়েছিল। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৪ রান করে সাকিব বাহিনী হেরেছিল ৫ উইকেটে। ওই ম্যাচ মাথায় রেখে গতকাল ফিল্ডিং করে আগে। পুরো ম্যাচে দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তাসকিন, শরিফুল ও হাসান ত্রয়ীর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫১ রান করে স্বাগতিকরা। তিন পেসার সম্মিলিতভাবে ২৭ ওভার বোলিং করেন।

সর্বশেষ খবর