শিরোনাম
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্যাঁড়াকলে হকি ফেডারেশন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হকি ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে এবারও বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। বিশেষ করে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দুই সংগঠক সাজেদ এ এ আদেল ও জহিরুল ইসলাম মিতুলের বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে হকিতে তোলপাড় শুরু হয়। সাজেদ আগের নির্বাচনে ঢাকা হকি ইউনাইটেড থেকে কাউন্সিলরশিপ পান এবং সহসভাপতি প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। মিতুলও কম্বাইন্ড থেকে কাউন্সিলর হন এবং সদস্য পদে নির্বাচিত হন। চলতি বছরে নতুন নির্বাচনে দুজন একই ক্লাবের পক্ষে কাউন্সিলরশিপের নাম জমা দেন। কিন্তু হকি ফেডারেশন তাদের নাম বাদ দেয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ ব্যাখ্যা দেন- দুজনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি বলেই কাউন্সিলরশিপ পাননি। সাজেদ ও মিতুল দুজনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করেন। শুনানিতে দুজন উপস্থিত থাকলেও অন্য পক্ষরা যথাসময়ে আসতে না পারায় শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার দুজনকে আশ্বাস দেন স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা করে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। অথচ সেই পথ অনুসরণ করা হয়নি। ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ডের কাউন্সিলরশিপ দেওয়া হয় দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। যাদের কখনো হকি অঙ্গনে দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ২৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পরের দিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইদুর রশিদ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। অর্থাৎ নতুন কমিটিকে বৈধভাবে স্বীকৃতি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এদিকে হাই কোর্ট ২১ জুন ঘোষিত প্রজ্ঞাপনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা চিঠি দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন ছাড়াও সচিব যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ যাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে তা পাওয়া মাত্রই চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।  এসব নিয়ে গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে হকি ফেডারেশন।

আর কেনই বা সাজেদ ও মিতুলের কাউন্সিলরশিপ বাতিল করা অবৈধ হবে না তাও জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ বলা মানে পুরো কমিটিকে অবৈধ বলা। হকি ফেডারেশন এখন কী করবে সেটাই দেখার বিষয়।

সর্বশেষ খবর