মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুরুতেই কিংসের সামনে মাজিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শুরুতেই কিংসের সামনে মাজিয়া

বিদেশের মাটিতে মাঝেমধ্যে শিরোপা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের তেমন চমক নেই। বড় সাফল্য এনে দিয়েছিল কেবল ঢাকা মোহামেডানই। ১৯৮৮ সালে এশিয়ান ক্লাব কাপে বাছাই-পর্বে তারা ইরানের বিখ্যাত ক্লাব পিরুজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। চূড়ান্ত-পর্বে কাতার আল সাদ ও উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের সঙ্গে ড্র করে ঐতিহ্যবাহী দলটি। একবারই এশিয়ান ফুটবলে তারা সাড়া ফেলতে পেরেছিল। ঢাকা আবাহনী এতদূর না হলেও এএফসি কাপে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারিয়ে জোনাল সেমিফাইনালে ওঠে। এশিয়ান ক্লাব কাপের পরবর্তী নামকরণ করা হয় এএফসি কাপ।

মুক্তিযোদ্ধা ব্রাদার্স, শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের এএফসি কাপে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে।

বাংলাদেশের এতগুলো ক্লাব অংশ নিলেও ঘরোয়া আসরের মতো আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলেও রেকর্ড গড়েছে বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮ সালে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর টানা চারবার এএফসি কাপ খেলছে। শুধু তাই নয়, এশিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে কিংসই খেলেছে। পেশাদার লিগ শুরুর পর অনেকে ক্লাবেরই অভিষেক হয়েছে। তারা তো এর ধারেকাছেও যায়নি। আর মোহামেডান ও আবাহনীর অভিষেক হয়েছে আরও অনেক আগে।

রেকর্ড গড়া টানা চারবার এএফসি কাপ খেলতে বসুন্ধরা কিংসের মিশন শুরু হচ্ছে আজই। মালদ্বীপের মালে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মাজিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হচ্ছে কিংস। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এএফসি কাপে এখন পর্যন্ত মালদ্বীপের কোনো ক্লাবের বিপক্ষে কখনো হারেনি বা ড্রও করেনি কিংস। মাজিয়াকে দুবার, টিসি স্পোর্টসকে একবার হারিয়েছে। নীলফামারীতে প্রীতি ম্যাচে রেডিয়ান্সকে বিধ্বস্ত করেছিল তারা। তাহলে কি পরের মাঠ হলেও ম্যাচে কিংস আজ ফেবারিট হয়ে মাঠে নামবে? সন্দেহ নেই কিংসের শক্তি আরও বেড়েছে। মানসম্পন্ন ছয়জন বিদেশিও একাদশে থাকবে। গেল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন, বিশ্বজিত, তপুরা দারুণ খেলেছিল। এরা আজ কিংসের হয়ে খেলবে। রবসন, ডরিয়েলটন, চালর্স দিদিয়ের, গফুরভ, ববুরবেক এমনকি গতবার শেখ রাসেলের হয়ে খেলা এমফন উদো আজ খেলতে পারেন। সব মিলিয়ে দারুণ ব্যালেন্সড দল কিংস।

মাজিয়াও ঘরের মাঠে জিততে চাইবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে লড়াই। তাই ম্যাচটি মাজিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারপর আবার তাদের দুর্বলও বলা যাবে না। সেরা দিয়ে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে চাইবে তারা। কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোন গতকালও বলেছেন, ‘গ্রুপে কেউ দুর্বল নয়। আমাদের শুরুটা হচ্ছে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। আমি মানি কিংসে কোয়ালিটি প্লেয়ারের অভাব নেই। তারপরও যে কোনো টুর্নামেন্টে শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। জিততে হলে মালেতে সেরাটাই দিতে হবে।’

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের টার্গেট এএফসি কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া। সেই সামর্থ্য রবসনদের রয়েছে। অবশ্য আজকে ম্যাচে সেরা একাদশ সাজাতে কোচ অস্কারকে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে। ছয়জন বিদেশি খেললে স্থানীয়দের মধ্যে পাঁচজন সুযোগ পাবেন। এখানে অটোমেটিক চয়েস গোলরক্ষক জিকো, আক্রমণভাগে মোরসালিন ও রাকিব। বিশ্বনাথও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ডিফেন্সে তার খেলাও নিশ্চিত। বাকি থাকল একজন। এখানে তপু, তারিক না সাদউদ্দিন খেলবেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে কোচের কথা, এ ক্ষেত্রে সমস্যা দেখছি না। কিংসের টার্গেট ঘরের মাঠে তিন জয় ও অ্যাওয়েতে দুই জয় ও এক ড্র। এ দুই জয়ের মধ্যে মাজিয়া ও ওড়িষা রয়েছে। এতেই বোঝা যায়, শুরুটা কিংসের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর