রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিরপুরে মানকাড নাটক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হাসান মাহমুদ যখন বল করছিলেন তখন নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে বারবার ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ইশ সোধি। টাইগার পেসার বল ডেলিভারি দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে বল দিয়ে বেলস ফেলে দিয়ে মাঠের আম্পায়ার দক্ষিণ আফ্রিকার মারাস ইরাসমাসের কাছে রান আউটের আবেদন করেন। টিভি আম্পায়ার ভারতের নিতিন মেনন জানিয়ে দিলেন, ইশ সোধি রান আউট! ক্রিকেট বোদ্ধারা, এমন আউটকে বলেন ‘মানকাড’ আউট। যদিও ক্রিকেটের ভাষায় এটি বৈধ ‘রান আউট’।

এদিকে কিউই ব্যাটার যখন হতাশায় হাত দিয়ে ব্যাটে আঘাত করতে করতে ড্রেসিংরুমের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে আবেদন তুলে নিলেন। এরপর আম্পায়ার সোধিকে ফিরিয়ে আসতে সংকেত দিলেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তখন অভূতপূর্ব এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্যাপ্টেনের এমন বিনয়ী আচরণে দর্শকও যেন অভিভূত হয়ে গেলেন। সবচেয়ে বেশি খুশি হলেন বোধহয় ‘আউট’ হওয়া কিউই ব্যাটার।

দৌড়ে এসে হাসতে হাসতে হাসান মাহমুদকে যেন পরম মমতায় জড়িয়ে ধরলেন ইশ সোধি। এ আলিঙ্গনে যেমন গভীর আবেগ জড়িত, তেমনি তার হাসিতেই বিশ্ব দেখতে পেল বাংলার ক্রিকেট গৌরব।

ক্রিকেট ভদ্র লোকের খেলা! কালকের ম্যাচের এ ঘটনায় ফিরে এলো ২০০৩ সালে মুলতানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধের সেই ঘটনাবহুল টেস্ট ম্যাচটি। যে ম্যাচে মোহাম্মদ রফিক পাকিস্তানের ব্যাটার ওমর গুলকে আউট করার সুযোগ পেলেও করেননি। যদি সেই একই ম্যাচে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফের ‘প্রতারণা’র আশ্রয় নিয়ে অলক কাপালিকে আউট করেছিল। মুলতানের সেই ম্যাচে রফিক যদি ওমর গুলকে আউট করতেন, পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ পেত ঐতিহাসিক এক জয়। হয়তো এখন পর্যন্ত সেটিই হয়ে থাকত দেশের ক্রিকেটের ইনিংসে সবচেয়ে বড় ঘটনা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর