রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেরা হওয়ার স্বপ্ন মিরাজের

সেরা হওয়ার স্বপ্ন মিরাজের

গত এক-দেড় বছর ধরেই আপনি বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করে সফল হচ্ছেন। এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

আপনি যেটা বললেন, ইন্ডিয়া সিরিজ থেকে রান পাচ্ছি। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি। কীভাবে আরও ভালো করা যায়। আমি যদি ব্যাটিং ভালো করি, দল উপকৃত হবে। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। দলও আমাকে সাপোর্ট করেছে। বিভিন্ন জায়গায় খেলার সুযোগ দিয়েছে।

 

বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করেছেন, এডজাস্ট করেন কীভাবে?

এডজাস্ট করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটারদের কাজই হলো এডজাস্ট করা। সবার কাছেই বিষয়টা একই রকম। বড় কিছু করতে গেলে এডজাস্ট করতে শিখতে হবে। ৮ নম্বরে ব্যাটিং করেছি। সব সময় সুযোগ পাওয়া যায় না। তখন বলও কম থাকে। আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। সুযোগ পেলে যেন শতভাগ দিতে পারি। যে কোনো পজিশনেই খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি।

 

৮ নম্বরে বা এক নম্বরে খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি একরকম হয় না। প্রস্তুতির মধ্যে পার্থক্যটা কী রকম হয়?

বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন সিচুয়েশন থাকে। তবে আমি বেশি কিছু ভাবি না। সুযোগ দিয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। বিশ্বাস করি, আমি ব্যাটিং করতে পারি। ভালো খেললে দল উপকৃত হবে। দলের প্রয়োজনে ভালো করতে হবে। আজ (গতকাল) জিতেছি, দলের সবাই খুশি। বাংলাদেশের সবাই খুশি। যে কোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত থাকি।

 

সাকিবের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পান। আপনিও কী সাকিবকে অনুপ্রাণিত করেন?

আমি প্রথম ওভার ভালো করতে পারিনি। সাকিব ভাই বলেছেন, নেগেটিভ মাইন্ড সেট-আপে বল করলে ভালো করা যাবে না। বড় টুর্নামেন্টে পজিটিভ মাউন্ড সেট-আপ রাখতে হবে। মেরে দিলে হতাশ হওয়া যাবে না। ভালো জায়গায় বল করলে ভালো হবে। ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। ভালো খেললে অধিনায়ক খুশি হবেন। এটাই স্বাভাবিক। সবাই খুশি হয়।

 

বোলিংটা আগেই ভালো করতেন, ব্যাটিংটাও ভালো হচ্ছে। এটা কী আপনার রূপান্তর? তাসকিনের যেমনটা হয়েছে?

তাসকিন ভাই তিন বছর ছিলেন না। কঠোর পরিশ্রম করেছেন। গত তিন বছর যে পরিশ্রম করেছেন তার ফল পাচ্ছেন। আমিও ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছি। আমার পছন্দের মানুষদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি। আমি ব্যাটিং ভালো করতে পারলে দলও উপকৃত হবে, আমিও উপকৃত হব। ভালো ব্যাটিং করতে পারলে করব না কেন?

 

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। এবার এই বিশ্বকাপেও এমন কোনো স্বপ্ন দেখেন কি না?

এভাবে চিন্তা করিনি। চিন্তা করেছি, বল টু বল খেলব। বোলাররা ভালো বল করবে। ব্যাটিং ভালো করব। রেজাল্ট কী হবে সেটা পরের ব্যাপার। নিজের খেলাটা ঠিক রাখব। পারফর্ম করব। এটা করতে পারলে জয় আসবে। ফল নিয়ে আগে থেকেই ভাবলে ফোকাস থাকবে না। বড় টুর্নামেন্টে সেরা হওয়ার স্বপ্ন তো সবারই থাকে।

 

স্পিনারদের জন্য ধর্মশালার উইকেট নয়। কিন্তু আপনারা ভালো করলেন। এটা কীভাবে হলো?

প্রথমদিকে পেস বোলাররা ভালো করেননি। পরে স্পিনারদের ওপর দায়িত্ব এসেছে। সাকিব ভাই ভালো শুরু করেন। আমিও ভালো বল করি। আমরা উইকেটটা এমন আশা করিনি। তবে প্রথমদিকে বল করে দেখেছি বল টার্ন করছে। আমরা এই ইনফরমেশন সবার সঙ্গেই শেয়ার করেছি। সবাই বুঝতে পারছিল, কীভাবে বোলিং করতে হবে। কমিউনিকেশনটা খুব ভালো ছিল।

 

আউট ফিল্ডটা কেমন দেখেছেন? মূল্যায়ন কীভাবে করবেন?

আউট ফিল্ড একটু ভারী ছিল। বল বেশি ট্র্যাভেল করছিল না। তবে আউট ফিল্ডের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যে কোনো পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন বড় টুর্নামেন্টে এসে বলা যাবে না উইকেটটা ভালো কিংবা আউট ফিল্ডটা খারাপ। নিজেকে পারফর্ম করতে হবে।

সর্বশেষ খবর