শিরোনাম
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্পিন-ই ভরসা

আসিফ ইকবাল

স্বপ্নের এক জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে নিয়ে টাইগাররা ছেলেখেলা খেলেছে ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৯২ বল হাতে রেখে যে ৬ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে সাকিব বাহিনী, তার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল দুই স্পিনার সাকিব ও ম্যাচসেরা মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৫টি। সেঞ্চুরির ইনিংস রয়েছে ৫টি। কিন্তু এককভাবে ৫ উইকেট পাননি কোনো বোলার। নেদারল্যান্ডসের মিডিয়াম পেসার বাস ডি লিড ৪ উইকেট পেয়েছেন। আসরে এখন পর্যন্ত দাপট অব্যাহত রেখেছেন স্পিনাররা। ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ধর্মশালায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ। দুই দলেরই দ্বিতীয় ম্যাচ। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শুরু করেছে জয় দিয়ে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে হারে। গত আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৯ উইকেটের আকাশসমান ব্যবধানে। ধর্মশালার মাঠ অপেক্ষাকৃত ছোট। স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন বেশি। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ম্যাচেও দুই দলের ভরসা স্পিনাররা। আফগান ম্যাচের পর্যালোচনায় টাইগাররা তাকিয়ে থাকবেন দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজের দিকে। উভয়েই ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন আফগানিস্তান ম্যাচে।

তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান-তিন পেসার উইকেট নিয়েছেন ৪টি। কিন্তু কাজের কাজ করেছেন সাকিব ও মিরাজ। দুজনে উইকেট নিয়েছেন ৩টি করে। সাকিবের বোলিং স্পেল ৮-০-৩০-৩ এবং মেহেদী মিরাজের স্পেল ৯-০-২৫-৩। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক ওভার বোলিং করে ৭ রান দিয়েছিলেন। আগামীকাল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে একাদশে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিংবা একটা পেসার কম খেলিয়ে নাসুম আহমেদ বা শেখ মেহেদি হাসানকে খেলানো হতে পারে। অবশ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে দুটি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মাহমুদুল্লাহ। অ্যাডিলেডে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাকিব ও মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ৩৪.২ ওভারে। বোলিংয়ের পর দারুণ ব্যাটিং করেন মেহেদী মিরাজ। ম্যাচসেরা মিরাজ ৫৭ রানের ইনিংসটি খেলেন ৭৩ বলে ৫ চারে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা। এটা শান্তর টানা চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। এশিয়া কাপে ৮৯ ও ১০৪, ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬ এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫৯। বরাবরের মতো প্রথম ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল ওপেনিং জুটি। ৪.১ ওভারে তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তানজিদ ১৩ বলে ৫ রান করেন। লিটন ১৩ রান করেন ১৮ বলে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে জয় পেতে হলে রান করতেই হবে ব্যাটারদের। পেসারদের উইকেট শিকার করতে হবে। তবে মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজকে।

ইংল্যান্ড বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচে হেরেছে গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের কাছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২৮২ রান করেও হেরেছে। নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটের জয় পায় ৮২ বল হাতে রেখে। ইংল্যান্ডের ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন সাবেক অধিনায়ক জো রুট। খেলেছিলেন ৭৭ রানের ইনিংস। এ ছাড়া জশ বাটলার ৪৩ রান করেছিলেন। সেদিন বেন স্টোকসের অভাব পরিষ্কারভাবে অনুভব করেছে ইংলিশরা। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক স্টোকস এখনো পুরোপুরি ফিট হননি। আগামীকাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্টোকসকে খেলতে না দেখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। স্টোকস শুধু ব্যাটিং করবেন, বোলিং করবেন না। তারপরও ইংলিশ পেসাররা যথেষ্ট গতিশীল। ক্রিস ওক্স, স্যাম কুরান ও মার্ক ওডের গতির পাশাপাশি সুইং সামলাতে হবে টাইগারদের। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারও জয় পেয়েছে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল টাইগাররা। ২০১৯ সালে পারেনি। এবার স্বপ্ন আরও বেশি।

সর্বশেষ খবর