বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৪০ বলের হাইলাইটস!

মাত্র ৪০ বলেই সেঞ্চুরি হয়ে গেল। এটিই বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি! কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম ভেঙে দিয়েছিলেন আইরিশ তারকা কেভিন ও’ব্রায়েনের এক যুগ আগের রেকর্ড (৫০ বলে সেঞ্চুরি, ২০১১ বিশ্বকাপ)।

মেজবাহ্-উল-হক

৪০ বলের হাইলাইটস!

প্রথম দুই বলে দুই বাউন্ডারি। তারপর দুই বলে দুই ছক্কা। ওভারের প্রথম চার বলে ২০ রান দিয়ে নেদারল্যান্ডসের পেসার বাস ডি লিডি যেন রাগেই ‘বিমার’ দিলেন! কিন্তু বুক বরাবর আসা বলও হুক করে ফাইন লেগ দিয়ে গ্যালারিতে ফেললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

মাত্র ৪০ বলেই সেঞ্চুরি হয়ে গেল। এটিই বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি! কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম ভেঙে দিয়েছিলেন আইরিশ তারকা কেভিন ও’ব্রায়েনের এক যুগ আগের রেকর্ড (৫০ বলে সেঞ্চুরি, ২০১১ বিশ্বকাপ)। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে সেটিকেও টপকে গেলেন ম্যাক্সি!

ভারতের মাটিতে রানবন্যার উইকেটে যেখানে হার্ডহিটার অন্য ব্যাটসম্যানরা রানের ফোয়ারা ফোটাচ্ছিলেন সেখানে ম্যাক্সওয়েল যেন খানিকটা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল তার সামনে। বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ মিলে ২৫৯ রান করার পরও ম্যাক্সওয়েলেকে ওয়ানডাউনে নামানো হয়েছিল, কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে যান! তবে সেই আক্ষেপ যেন গতকাল দিল্লিতে এসে ঝাড়লেন।

প্রথমে হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৭ বলে। তবে পরের ফিফটি করতে ম্যাক্সওয়েল খেলেছেন আর মাত্র ১৩ বল। অসি এই তারকা যে কতটা ভয়ংকর রূপে ছিলেন তা সহজেই অনুমেয়! তবে শতক পূরণ করার পর আর বাইশগজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। এমন বিধ্বংসী ইনিংস দেখে যদি কেউ হাইলাইটস ভেবে ভুল করেন তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, ৪০ বলের সেঞ্চুরিতে তিনি ১৭ বার বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আটটি ছক্কা এবং ৯টি চার। ঠিক হাইলাইটসের মতোই!

ম্যাক্সওয়েলের এমন বিস্ফোরক ইনিংসের দিনে ওপেনার ওয়ার্নারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি যেন খানিকটা ম্লান হয়ে গেল কি না! আগের ম্যাচে ১৬৩ রান করা ওয়ার্নার এ ম্যাচেও খেলেছেন ১০৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস। সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ৯১ বলে। তবে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আরেক ওপেনার মিচেল মার্শ এ ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। তিনে ও চারে নামা স্টিভ স্মিথ (৭১) ও মার্নাস লাবুশেনের (৬২) দুই হাফ সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্কোরের পথে নিয়ে যায়। শক্ত একটা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাইশগজে সাইক্লোন সৃষ্টি করেন ম্যাক্সওয়েল।

আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ৩৬৭ রান করলেও শেষ ১০ ওভারে হয়েছিল ৭০ রান আর গতকাল অসিরা শেষের ৬০ বল থেকে করেছে ১৩১ রান। সে কারণেই দলীয় স্কোর হয়ে যায় ৩৯৯।

এ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল দ্রুতগতির ডাচ বোলারদের যেভাবে রিভার্স সুইপ করে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তা ছিল দেখার মতো! এক একটি শটে যেন ঠিক বের হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি!

ম্যাচ শেষে রিভার্স সুইপ নিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমি প্রথমে বোলারদের দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি! বলটি কত দ্রুত করতে পারে, সে অনুযায়ী আমার হাতকে ফাস্টার করে নিয়েছি। বেশ কয়েকটি ছক্কা হয়েছে, ঠিক আমি যেমন চেয়েছি।’

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর