শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘নিয়ম ভাঙেননি সাকিব’

‘নিয়ম ভাঙেননি সাকিব’

মিডিয়া বক্সে ঢোকার মুখে এক ভারতীয় সাংবাদিক জানতে চাইলেন, সাকিব কি মাঠে এসেছেন? টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সতীর্থদের সঙ্গে তখন টিম বাসে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। আঙুল দিয়ে সাকিবকে দেখাতেই একটা হাসি দিলেন। ওই হাসিতেই বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস আজকের ম্যাচের সব ফোকাস থাকবে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের দিকে।

সাকিব একজন জেনুইন ‘ম্যাচ উইনার’। বিপদে দলকে হাজারবার টেনে তুলে নিয়েছেন। উপহার দিয়েছেন জয়। আজ ডাচ বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঁচা-মরা ম্যাচে সাকিবই ভরসা। যদিও মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে দুই দিনের ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এতে বিতর্কের সৃষ্টি হয় ক্রিকেটাঙ্গনে। বিস্ময় প্রকাশ করেন সবাই। কিন্তু টিমমেট ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ প্রশংসা করেছেন টাইগার অধিনায়কের, ‘আমি মনে করি না সাকিবের ঢাকা চলে যাওয়াটা দলের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বকাপে তিনি প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং করতে পারছেন না। এ জন্যই ব্যাটিংয়ে বিশেষ কিছু কাজ করতে ঢাকা গিয়েছিলেন। যেটা আমরা সতীর্থরা অবশ্যই সমর্থন করি। কারণ উনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই গেছেন। তাছাড়া বুধবার রেস্ট ডে ছিল। কাল (পরশু) যখন অফিশিয়াল অনুশীলন করেছি, ততক্ষণে তিনি চলে এসেছেন। আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি উনি না থাকায়। সাকিব নিয়ম ভাঙেননি। তাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করা উচিত।’ তাসকিনের কথায় স্পষ্ট, টিমমেটদের সবাই আছেন সাকিবের পাশে।

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা করে টাইগাররা। কিন্তু পরের চার ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। টানা চার হারে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত টাইগাররা। বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছেন ক্রিকেটাররা। এ জন্য আজকের ম্যাচে জয় চাই। শক্তিমত্তায় আহামরি দল নয় নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯০ রানে গুটিয়ে গেছে। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে ইউরোপীয় দলটি। তাই সতর্ক বাংলাদেশ। এ জন্যই হয়তো আজকের ম্যাচটিকে ‘ট্রিকি’ বলেছেন তাসকিন, ‘ম্যাচ হেরে গেলে তো ভাই সবকিছুই কঠিন হয়। এরকম ম্যাচগুলোতে এটা ঠিক চাপ আরও বেশি থাকে। কারণ সবার প্রত্যাশা বেশি থাকে। ম্যাচটা জিততেই হবে। কিন্তু আমরা সব ম্যাচই বললেই তো জিততে পারব না। সঠিক কাজগুলো নিয়মের মধ্যে করলেই জয় আসবে। আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ যেতে হবে। আমরা আমাদের সেরাটা খেলে জিতব ইনশাআল্লাহ।’

মুম্বাই ও পুণেতে দারুণ গরমে খেলেছেন সাকিবরা। ওখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে কলকাতার আবহাওয়ার কোনো মিল নেই। ওখানে প্রচণ্ড গরম। কলকাতায় শীতের আগমনি শোনা যাচ্ছে। দিনে গরম থাকলেও রাতে কুয়াশা পড়ছে। রাতের কুয়াশা এবং ম্যাচে টস কতটা গুরুত্ব বহন করবে, প্রশ্নের উত্তরে ডানহাতি বোলার বলেন, ‘ভেন্যুগুলোর উইকেট ও কন্ডিশন ভিন্ন থাকায় অনেক সময় টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। জিতলে সেটা সহায়তা করে। কুয়াশা পড়লে বোলারদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জ থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর