শিরোনাম
রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাটেনি ওপেনিংয়ে দুর্দশা

কাটেনি ওপেনিংয়ে দুর্দশা

এবারের বিশ্বকাপে বড় স্কোর গড়তে বড় ভূমিকা রাখছেন ওপেনাররা। কিন্তু ভারতের রানবন্যার উইকেটেও ব্যাট হাতে খাবি খাচ্ছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। ওপেনিংয়ে বড় জুটি না হওয়ার কারণে দলের স্কোর বড় হচ্ছে না। এখনো টাইগারদের ২টি ম্যাচ বাকি। কিন্তু ওপেনিংয়ে দুর্দশা কাটেনি।

কুইন্টন ডি কক বিশ্বকাপ শেষে বিদায় জানাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। সে জন্যই হয়তো বিশ্বকাপকে রাঙাচ্ছেন সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করে। দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ৭ ম্যাচে। ডি ককের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরি করে চলেছেন নিউজিল্যান্ডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। ৮ ম্যাচে তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস খেলেছেন ৩টি। শুধু এই দুই ওপেনারই নন, সেঞ্চুরি করছেন, রান করছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যাসিং ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, স্বাগতিক ভারতের রোহিত শর্মা, নিউজিল্যান্ডার ডেভন কনওয়ে। এমনকি আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার ওপেনাররাও রান করছেন। শুধু পারছেন না বাংলাদেশের ওপেনাররা। বিশ্বকাপে ওপেনাররা এখন পর্যন্ত শতরানের জুটি গড়েছেন ১০টি। দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন ওপেনিং জুটিতে ভারত ম্যাচে। প্রতিটি দলই ব্যাকআপ ওপেনার নিয়ে এসেছে বিশ্বকাপে। একমাত্র বাংলাদেশই এসেছে দুই স্পেশালিস্ট ওপেনার নিয়ে। লিটন ও তানজিদের সঙ্গী হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নিয়ে এসেছে মেহেদি হাসান মিরাজকে। তানজিদের টানা ব্যর্থতার পরও মিরাজকে ওপেন করানোর সাহস পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও ওপেনার মিরাজের সেঞ্চুরি রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় একটি। ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচে দুই ওপেনার তানজিদ ও লিটন ১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন ৪.১ ওভারে। তানজিদ রান করেছিলেন ৫, লিটন ১৩। একই ভেন্যুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডার বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে তানজিদ-লিটন জুটি ১.৪ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করে ১৪ রান। লিটন ৭৬ রান ও তানজিদ করেছিলেন ১। নিউজিল্যান্ডার বিরুদ্ধে প্রথম বলেই বিচ্ছিন্ন হন ওপেনারদ্বয়। প্রথম বলে লিটন আউট হন শূন্য রানে। তানজিদ করেন ১৬ রান। ভারতের বিরুদ্ধে ১৪.৪ ওভারে ৯৩ রান যোগ করেন ওপেনিং জুটিতে। বিশ্বকাপে এ একটিমাত্র ম্যাচেই দুই ওপেনার হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। তানজিদ ৫১ ও লিটন ৬৬ রান করেন। অথচ দুজনেরই সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৬.১ ওভারে ৩০ রানের ভিত গড়েন তানজিদ ও লিটন। তানজিদ ১২ ও লিটন ২২ রান করেন। কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪.২ ওভারে ১৯ রান করেন দুই ওপেনার জুটিতে। লিটন ৩ ও তানজিদ ১৫ রান করেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ভেন্যুতে ইনিংসের শুরুর ওভারের প্রথম বলে আউট হন ০ রানে। তানজিদ শূন্য ও লিটন ৪৫ রান করেন। পুরো আসরে তানজিদের স্কোরগুলো যথাক্রমে ৫, ১, ১৬, ৫১, ১২, ১৫ ও ০। ৭ ম্যাচে রান করেছেন ১০০। লিটনের রান ১৩, ৭৬, ০, ৬৬, ২২, ৩ ও ৪৫। ৭ ম্যাচে ২২৫ রান করেন লিটন। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নিয়ে আসা মিরাজ রান করেন ৭ ম্যাচে ১৬৯। তিনি ৫টি পজিশনে ব্যাটিং করেছেন।

ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ৭ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫৪৫। দুইয়ে থাকা রাচিন রবীন্দ্র ৮ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫২৩। ওয়ার্নার ২ সেঞ্চুরিতে ৭ ম্যাচে রান করেছেন ৪২৮। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৭ ম্যাচে রান করেছেন এক সেঞ্চুরিতে ৪০২। পাকিস্তানের আবদুল্লাহ শফিক রান করেছেন এক সেঞ্চুরিতে ৭ ম্যাচে ৩৩৬। ফখর জামানও ১২৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন গতকাল নিউজিল্যান্ডার বিরুদ্ধে। এরা ওপেনার। এদের পারফরম্যান্সেই দলগুলো এগিয়ে চলেছে তরতরিয়ে।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম রানের ফোয়ারা বয়েছে আগের ম্যাচগুলোতে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলগত স্কোর। ওই ম্যাচে শতরানের জুটি গড়তে পারেননি ওপেনাররা। তবে এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত শতরানের জুটি হয়েছে ১০টি। সর্বোচ্চ ২৫৯ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই অসি ওপেনার সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ ছাড়া ওপেনিং জুটিতে আর কোনো ডাবল সেঞ্চুরি নেই। ওপেনিং জুটিতে বাকি স্কোরগুলো- ১৭৫, ১৫৬, ১৩৪, ১৩০, ১২৮, ১২৩, ১১৫, ১১৪ ও ১০৮ রান।

৬ নভেম্বরে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। দুই ওপেনার তানজিদ ও লিটন কি পারবেন কোনো শতরানের জুটি গড়তে?

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর