যেখানে শুরু, সেখানেই শেষ। ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল আহমেদাবাদে। ৪৬ দিনের ভ্রমণ শেষে আগামীকাল ক্রিকেট মহাযজ্ঞের পর্দা নামছে সাবরমতী নদী পারের শহরটিতে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল নামছে স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। কাকতালীয় হলো, দুই দল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ শেষ করছে ফাইনাল খেলে। দুই দল বিশ্বকাপ শুরুও করেছিল পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলে। চেন্নাইয়ের ওই ম্যাচের পর দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আসরে খেলেছে আরও নয় ম্যাচ। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, মোহাম্মদ সামির ভারত টানা ১০ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে ফাইনাল। বিপরীতে প্যাট কামিন্স, ডেভিড ওয়ার্নারের অস্ট্রেলিয়া খেলবে টানা আট জয়ের রেকর্ড নিয়ে। বিশ্বসেরা হতে টানা জয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারত গতকাল বিকালে অনুশীলন করেছে। অনুশীলন ছিল অপশনাল। কোহলি, রোহিতরা বিশ্রাম করেছেন আইএসটি নর্মদা হোটেলে। অস্ট্রেলিয়া গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে আহমেদাবাদে পা রেখেছে। ভারত এসেছে পরশু।
গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্বকাপ। মোদি স্টেডিয়ামের ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৯ উইকেটে। আহমেদাবাদে দুই ফাইনালিস্ট ম্যাচও খেলেছে একটি করে। দুই দলের ক্রিকেটারদের কাছেই উইকেট ভীষণ পরিচিত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে এ মাঠে আতিথেয়তা দিয়েছিল ভারত। ১১৭ বল হাতে রেখে রোহিত বাহিনী ম্যাচটি জিতেছিল ৭ উইকেটে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াও একটি ম্যাচ খেলেছে এখানে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পায় ৩৩ রানে। সুতরাং ফাইনালে দুই দল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে খেলবে।
অনেক গোছানো শহর আহমেদাবাদ। একসময় রাজ্যটির রাজধানী ছিল। এখন রাজধানী গান্ধীনগর। রাজ্যের বৃহত্তম শহরটি আবার মূল বাণিজ্যিক নগরী। প্রায় ৫৮ লাখ লোকের বাস। শহরের রাস্তাঘাট বড় বড়। আহমেদাবাদ এখন বিশ্বকাপের নগরী হলেও কোথাও হোর্ডিং কিংবা আলোকবাতি লাগানো হয়নি। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে থেকেই সাবরমতী পারের নগরীটি উৎসবমুখর। ধর্মীয় উৎসব দিওয়ালি চলছে এখনো। ফাইনালের দিন শেষ হবে অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর স্ফুরণের দিওয়ালি। সেদিনই তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব করতে চান রোহিত, কোহলিরা। ঐতিহাসিক ফাইনালের সাক্ষী হতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমীর পথ এখন আহমেদাবাদ। সর্দার বল্লবভাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি এখন ব্যস্ত।