শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নারী ফুটবলে মাতোয়ারা এক গ্রাম

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

নারী ফুটবলে মাতোয়ারা এক গ্রাম

ডেকোরেশনের লম্বা রঙিন কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে মাঠ। যেন কাপড়ের স্টেডিয়াম। বাইরে বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রবেশ পথ ও টিকিট কাউন্টার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ফুটবলপ্রেমী টিকিট কেটে প্রবেশ করছেন মাঠে। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে খেলা দেখছেন। বাঁশ দিয়ে উঁচু মাচা বানানো হয়েছে। সেখানে বসেই ভাষ্যকার আকর্ষণীয়ভাবে খেলার ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। মাঠের ভিতরেই অনেক দোকানপাট। শিশু, তরুণ, যুবক থেকে বয়স্করা ঘুরছেন, হাঁটছেন, খেলা দেখছেন। অনেকে পরিবার নিয়েই এসেছেন খেলা দেখতে। এ দৃশ্য একটি প্রত্যন্ত গ্রামে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল কোটভাজনির প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু হয়েছে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট। রংপুর বিভাগের সর্বপ্রথম নারী টুর্নামেন্টে টিকিট কেটে খেলা দেখছেন হাজারো দর্শক। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নারী ফুটবলারও এমন টুর্নামেন্টে খেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট শিরোনামে এই খেলার উদ্বোধন করেন টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সরকার। বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টটি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মুজিব-ইন্দিরা যুবসংঘ ও হাজির হাট ফুটবল একাডেমি এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। খেলা শুরুর আগেই হাজার হাজার দর্শক টিকিট কেটে মাঠে প্রবেশ করেন। খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত তারা। দর্শকরা বলছেন, নারী ফুটবলারদের খেলা দেখে তারা মুগ্ধ। হাজির হাট গ্রামের জনি ইসলাম জানান, ছিটমহল বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় আমরা এই আনন্দ উপভোগ করতে পারছি। ছিটমহল থাকতে কোনো দিন হয়নি। টিকিট বড় কথা নয়। এখানে যেন একটা উৎসব শুরু হয়েছে। আমাদের এলাকার মেয়েরা এখনো অনেক পিছিয়ে। তাদের উৎসাহ দিচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী খেলা প্রায় ৭ হাজার দর্শক উপভোগ করেছেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন এই প্রথম বলছেন খেলোয়াররা। এমন একটি আয়োজনে খেলতে পেরে আনন্দিত তারাও। জয়পুরহাট থেকে এসে রেফারির দায়িত্ব নিয়েছেন মাহফুজা। তিনি জানান, আমরা সবসময় শহরেই খেলেছি।

 

 

 

সর্বশেষ খবর