বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার কিংসের মিশন ওড়িশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার কিংসের মিশন ওড়িশা

প্রথম শ্রেণির ফুটবলে অভিষেকের পর বসুন্ধরা কিংস টানা চারবার এএফসি কাপ খেলছে। প্রথম আসরে শুরুতে চমক লাগানো জয় পেলেও সেবার করোনায় এএফসি কাপ স্থগিত হয়ে যায়। পরের দুবার দারুণ খেলেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় কিংস। এবার হাতছানি দিচ্ছে নকআউট পর্ব অর্থাৎ ইন্টারজোন সেমিফাইনাল খেলার। ‘ডি’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে ভারতের ওড়িশা এফসির সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। ১১ ডিসেম্বর ভুবনেশ্বর কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের শেষ ম্যাচ ওড়িশার বিপক্ষে। ওই অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করলেই এএফসি কাপে নকআউট পর্ব খেলার স্বপ্ন পূরণ হবে কিংসের। এমন সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত অস্কারের শিষ্যরা।

ভারতীয় ফুটবলের খ্যাতনামা দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টই দুই বছর বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিংসের। তারাই খেলেছে নকআউট পর্ব। এবার তারা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। নিজেদের ভেন্যু সল্টলেক স্টেডিয়ামে এগিয়ে থেকেও ২-৫ গোলে বিধ্বস্ত হয় ওড়িশার কাছে। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। শেষ ম্যাচে মালেতে মাজিয়াকে হারালেও লাভ হবে না। কিংবা মাজিয়া জিতলেও কোনো লাভ নেই। লড়াই এখন কিংস ও ওড়িশার মধ্যে। কিংস ড্র করলেই চলবে। অন্যদিকে স্বাগতিকদের জয়। আসরের শেষটা হবে দারুণ উত্তেজনার। একে অলিখিত ফাইনাল বললেও ভুল হবে না। এবার মালেতে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাজিয়ার কাছে হেরে মিশন শুরু করেন রবসনরা। এ হারই কিংসের জেদ বাড়িয়ে দেয়। এরপর

কিংস অ্যারিনায় পিছিয়ে থেকেও ওড়িশার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পায়। তারপর ওড়িশার মাঠে মোহনবাগানের বিপক্ষে ২-২ ড্র। ঘরের মাঠে সেই মোহনবাগানকে হারায়। মাজিয়াকে হারানোর পরই অবস্থান আরও মজবুত হয় কিংসের।

ঘরের মাঠে এবার প্রথম এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচ খেলল কিংস। টানা তিন অর্থাৎ হ্যাটট্রিক জয়ে বিরল রেকর্ডও গড়েছে; যা বাংলাদেশের অন্য কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। অবশ্য কারও তো আর নিজস্ব হোম ভেন্যু নেই। যাক, ঘরের মাঠে রেকর্ড গড়লেও অ্যাওয়ে ম্যাচে মোহনবাগানের বিপক্ষে ড্র করাটা উপকারে এসেছে। ওই ম্যাচ হেরে গেলে এত দূর হয়তো আসতেও পারত না কিংস। ঘরের মাঠে ওড়িশাকে হারিয়েছে কিংস। তার মানে এই না ফিরতি লেগেও জিতবে। একে তো ঘরের মাঠে খেলবে, তার ওপর আবার সল্টলেকে মোহনবাগানকে বিধ্বস্ত করে উজ্জীবিত ওড়িশা। বসুন্ধরা কিংসে যেমন রবসন, মিগেলফিগেইরা ও ডরিয়েলটনদের মতো মানসম্পন্ন বিদেশি আছেন; ওড়িশায়ও আছেন দিয়েগো মরিসিও, গোডার্ডের মতো দুর্দান্ত ফরেন কালেকশন। মোহনবাগানের বিপক্ষে তারা দুর্দান্ত খেলেছেন।

বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘ড্র নয়, আমাদের টার্গেট একটাই- জয়। ছেলেদের ওপর আস্থা রয়েছে; তারা জয় পাবেই আশা রাখি।’ কোচ অস্কার ব্রুজোনের মুখেও একই কথা- জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না। এ ভাবনা শুধু দুজনার নয়, দেশের সবাই চাচ্ছে ওড়িশায় বিজয়ের মাসে বিজয়ের পতাকা ওড়াবে কিংস। হাতে বেশ সময় পাচ্ছে কিংস। এরই মধ্যে দলকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে। বিশেষ করে গোল মিস ও রক্ষণভাগের ভুল নিয়ে কাজ করতে হবে। তা হলেই জয়ে মাতবে কিংস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর