শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নেতৃত্বের অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি

আসিফ ইকবাল

নেতৃত্বের অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি

গল্প লিখতে পারতেন প্রথম ইনিংসে। শুধু মেজাজি ব্যাটিংয়ের জন্য লিখতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ভুল করেননি। ব্যাটিংয়ে স্ট্রোকের ছন্দ তুলে গল্প লিখেছেন। লিখেছেন সেঞ্চুরির গল্প। গড়েছেন ইতিহাস। এজাজ প্যাটেলকে কাভারে ঠেলে ৯৯ থেকে ১০০ রানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের সোনালি পাতায় চিরস্থায়ী হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নাজমুল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, যিনি অধিনায়কত্বের অভিষেকেই তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে নাজমুল ৩২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন। যে রেকর্ড নেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কোনো অধিনায়কের। নাজমুলের আগে নেই বাংলাদেশের আগের ১২ অধিনায়কের কারও। এই একটি জায়গায় নাজমুল শান্ত পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমদের। নাজমুলের ইতিহাস লেখা সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২১২ রান তুলে। অধিনায়ক নাজমুল ব্যাট করছেন ১০৪ রানে এবং সাবেক অধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ৪৩ রানে। হাতে ৭ উইকেট ও ২০৫ রানে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ আজ চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামবে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩১০ ও নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রান করে।

পরিসংখ্যানের ৩২ অধিনায়কের ৯ জন অস্ট্রেলিয়া, ৬ জন ইংল্যান্ড, ৪ জন করে ভারত ও নিউজিল্যান্ড, ৩ জন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে, ২ জন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং একজন বাংলাদেশের। ৩২ অধিনায়কের মধ্যে একমাত্র গ্রাহাম থর্ম ডাউলিং টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৬৮ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ডাউলিং ২৩৯ রান করেছিলেন। অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে দুজনের। অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল ও ভারতের বিরাট কোহলির। ১৯৭৫ সালে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চ্যাপেল ১২৩ ও ১০৯* রান করেছিলেন। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলি ১১৫ ও ১৪১ রান করেছিলেন। প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করে চিরস্থায়ী হয়েছেন উইলিয়াম এল মারডক। ১৮৮৯ সালে কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম শূন্য করার পরের ইনিংসে ১৫৩ রান করেন মারডক।

সফরকারী নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তুলে। তখন মনে হয়েছিল বাংলাদেশ লিড নেবে। কিন্তু কাইলি জেমিসন ও অধিনায়ক টিম সাউদির দৃঢ়তায় ৭ রান এগিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩১৭ রানে। সফরকারীদের শেষ দুই উইকেট নেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন দুই ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান।

 

তিন উইকেটের দুটিই রানআউট

সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে গতকাল দুর্দান্ত একটি দিন পার করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে করেছে ২১২ রান। বাংলাদেশের লিড ২০৫ রান। তবে তৃতীয় দিনে টাইগারদের পতন ঘটা ৩ উইকেটের মধ্যে ২ উইকেটই রানআউট। এমনিতে টেস্টে খুব একটা রানআউট দেখা যায় না। তবে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটে। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৮ রানে ও মুমিনুল হক ৪০ রান করে ‘রানআউট’!

সর্বশেষ খবর