মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুটবলারদের অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে। দেশ স্বাধীন করতে ক্রিকেট জুয়েল শহীদ হয়েছেন। আজাদ বয়েজ ক্লাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন দেশ পরিচিত ক্রীড়া সংগঠক মুশতাক আহমেদ। ফুটবলার হাফিজ উদ্দিন আহমদ, নুরুনবী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ফান্ড সংগ্রহের লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলা নাম দিয়ে একঝাঁক ফুটবলার ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রীতি ম্যাচ খেলেন। জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বিশ্বে আলোড়ন তোলে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা দীলিপ কুমার ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পতৌদিসহ অন্যরা।
এত বড় ত্যাগ স্বীকার করার পরও স্বাধীন বাংলা ফুটবলাররা কোনো গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাতীয় ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এ নিয়ে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়ামোদীদের ক্ষোভের শেষ ছিল না। যাক ৫২ বছর পর হলেও স্বাধীন বাংলা দলে খেলা ফুটবলারদের ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নাম ফলক উন্মোচন করা হয়। স্বাধীন বাংলা দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না ও বাফুফে সভাপতি সেই দলের কনিষ্ঠ ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন এ ফলক উন্মোচন করেন।