রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘরোয়া ফুটবলে ব্যক্তিগত রেকর্ড

ঘরোয়া ফুটবলে ব্যক্তিগত রেকর্ড

হাফিজউদ্দিন আহমদ

১৯৭৫ ও ’৭৬ সালে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে ঢাকা মোহামেডান টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৭৬ সালে দলের নতুন অধিনায়ক হন মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। ১০ নম্বর জার্সিধারী তারকা এই ফুটবলার মোহামেডানকে শুধু শিরোপার উৎসবে ভাসাননি, হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৩ গোল দিয়ে; যাকে বলা যায় একের ভিতরে তিন। এর মধ্যে লিগের প্রথম ম্যাচে নবাগত শান্তিনগরের বিপক্ষে ও সেমিফাইনালে পিছিয়ে থেকেও বিজেএমসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে ২ গোল করেন হাফিজ। অধিনায়ক হিসেবে দলকে চ্যাম্পিয়ন ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটা কম কৃতিত্বের নয়। উল্লেখ্য, হাফিজই প্রথম ফুটবলার যিনি স্বাধীনতার পর লিগে ফায়ার সার্ভিসের বিপক্ষে ডাবল হ্যাটট্রিক করেন।

 

সালাম মুর্শেদী

১৯৭৩ সালে একটি ডাবল ও একটি হ্যাটট্রিক করে ২৪ গোল দিয়ে লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ঢাকা আবাহনীর কাজী সালাউদ্দিন। নয় বছর পর তাঁর রেকর্ডটি ভেঙে দেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। ১৯৮২ সালে মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেবার দুই হ্যাটট্রিকসহ ২৭ গোল দিয়ে সালাম স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ গোলদাতা হন; যা ৪১ বছরেও কোনো দেশি বা বিদেশি খেলোয়াড়ের পক্ষে ভাঙা সম্ভব হয়নি। সালামের এ কৃতিত্বের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন সতীর্থ বাদল রায়। তাঁর ১২টি অ্যাসিস্টে সালাম গোল করতে সক্ষম হন। এ ক্ষেত্রে আবদুল গাফফারেরও ভূমিকা ছিল।

 

শেখ মো. আসলাম

বসুন্ধরা কিংস অভিষেকের পর টানা চারবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৭৫ বছরের ঘরোয়া ফুটবলে নতুন রেকর্ড গড়েছে। তার আগে ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ড গড়েন শেখ মো. আসলাম। দেশের সেরা এই স্ট্রাইকার ১৯৮৪ সালে মোহামেডান থেকে আবাহনীতে যোগ দেন। এসেই ১৯৮৪, ’৮৫, ’৮৬ ও ’৮৭ সালে টানা চারবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ১৯৪৮ সালে ঘরোয়া ফুটবল শুরু হওয়ার পর আসলামের এ রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেননি কেউ। চার বছরে হেডের মাধ্যমে ২৭ গোলের রেকর্ড রয়েছে তাঁর।

 

ছাইদ হাছান কানন

১৯৮৬, ’৮৭, ’৮৮-৮৯-এ অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিরল রেকর্ড গড়ে মোহামেডান। এমন অভাবনীয় সাফল্যে ব্যক্তিগত রেকর্ডও রয়েছে; যা বাংলাদেশের কারও নেই। গোলরক্ষক ছাইদ হাছান কানন এ বিরল রেকর্ডের মালিক। ১৯৮৮-৮৯ লিগে মোহামেডানে ২২ ম্যাচ খেলে। এর মধ্যে ১৯ জয়, ৩ ড্র। প্রতিপক্ষের জালে ৫৭ গোল, অথচ মোহামেডানের জালে বল জড়িয়েছে মাত্র তিনবার। গোলরক্ষক কাননের অসাধারণ দৃঢ়তায় অসম্ভব সম্ভব করা গেছে। সেবার কানন চারটি পেনাল্টিও সেভ করেন।

 

অস্কার ব্রুজোন

স্বাধীনতার পর অনেক প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড রয়েছে বিভিন্ন ক্লাবের। এ ক্ষেত্রে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন ব্যতিক্রম। পেশাদার ফুটবলে শুরু থেকেই তিনি বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্ব পালন করছেন। টানা চার মৌসুমে চার লিগে শিরোপা উপহার দিয়েছেন। এ কৃতিত্ব ঘরোয়া ফুটবলে কোনো কোচেরই নেই। শুধু তাই নয়, অস্কার বসুন্ধরাকে জিতিয়েছেন তিনটি স্বাধীনতা ও দুটি ফেডারেশন কাপের ট্রফি। তা ছাড়া অস্কারই একমাত্র কোচ যিনি ছয় মৌসুম ধরে কিংসের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ খবর