টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু ১৮৭৭ সালে। ১৪৭ বছরের ইতিহাসে টেস্ট হয়েছে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫২২টি। প্রায় দেড় শ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বল্প সময়ের টেস্ট জিতেছে ভারত। কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৪২ বলের টেস্টটি ভারত জিতেছে ৭ উইকেটে। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সময়ে টেস্ট রেজাল্ট। সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম টেস্ট ভারত হেরেছিল আড়াই দিনে। এবার কেপটাউনে জিতে সিরিজে সমতা এনেছে রোহিত শর্মার ভারত। নানা ঘটনার টেস্টটি ভারত জিতেছে মাত্র সাড়ে ৯ ঘণ্টায়। বলের হিসাবে কেপটাউন টেস্ট সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত। এর আগে ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ৭২ রানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। টেস্টটির স্থায়িত্ব ছিল ৬৫৬ বল। ১৯৩৫ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফল হয়েছিল ৬৭২ বলে। রেকর্ডময় টেস্টটি আবার ডিন এলগারের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
কেপটাউনে ভারত এর আগে কখনোই সাদা বলের ম্যাচ খেলেনি। এবার খেলেছে এবং জিতেছে ১০৭ ওভারে। কেপটাউন টেস্টটি বেশকিছু রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে। প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ৫৫ রানে। যা কেপটাউনের চতুর্থ সর্বনিম্ন এবং ভারতের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর। এ ছাড়া দেশটির অষ্টম সর্বনিম্ন। ভারত ১৫৩ রানে অলআউট হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে মাত্র শূন্য রানে। ছয় উইকেটের পতন হয়েছে ১১ বলের মধ্যে। যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। প্রথম দিনে ২৩ উইকেটের পতন! এটাও রেকর্ড। যদিও টেস্টের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি ২৫ উইকেটের পতনের রেকর্ড রয়েছে। ১৯০২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড টেস্টে ২৫ উইকেটের পতন হয়েছিল। ১৮৮৮ সালে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিন সবচেয়ে বেশি উইকেট পতন হয়েছে ২৭টি।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2024/01.JANUARY/05-01-2024/Bd-Pratidin-05-01-24-F-24.jpg)
প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত করেন মোহাম্মদ সিরাজ গতির ঝড় তুলে। ১৫ রানের খরচে নেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মারাক্রামের প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ের পরও বুমরাহ ধসিয়ে দিয়েছেন। বুমরাহ ৬১ রানের খরচে নেন ৬ উইকেট। মুকেশ কুমার ২টি এবং সিরাজ ও প্রাসিদ কৃষ্ণান ১টি করে উইকেট নেন। ভারতকে টার্গেট দেওয়া হয় ৭৯ রান। ইয়াশভি জয়সোয়াল (২৩), শুভমন গিল (৮) ও বিরাট কোহলির (১২) উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে।