শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিবর্তন

♦ স্টাম্পিং চেক করার সময় এখন আর কট বিহাইন্ড দেখা হবে না। ♦মাঠে চিকিৎসার সর্বোচ্চ সময় ৪ মিনিট ♦ তৃতীয় আম্পায়ার সব ধরণের নো বল চেক করতে পারবেন।

ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিবর্তন

ক্রিকেটে অনেক সময় দেখা যায়, উইকেটকিপার স্টাম্পিংয়ের আবেদন করেছেন, কিন্তু ব্যাটসম্যান কট বিহাইন্ড হয়েছেন। স্টাম্পিং চেক করার সময় অটো ‘কট বিহাইন্ড’ চেক করে দেখা হয়! কিন্তু এখন আর সে সুযোগ থাকছে না। স্টাম্পিং চেক করার সময় কেবল স্টাম্পিংই চেক করা হবে। কট বিহাইন্ডের জন্য আলাদা রিভিউ নিতে হবে।

ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিবর্তন এনেছে। আরও কয়েকটি বিষয়ে সংশোধন এনেছে তারা। এখন থেকে খেলার মাঠে যদি কেউ হালকা চোট পান, তার চিকিৎসার জন্য ৪ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

কনকাশন সাবের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। যে ক্রিকেটার বাইরে চলে যাবেন, তার ওপর যদি বোলিং নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে তার বদলি হিসেবে যিনি মাঠে নামবেন তিনি আর বোলিং করতে পারবেন না।

নো বলের ক্ষেত্রেও অনেকটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তৃতীয় আম্পায়ারের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে নো বলের ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ার কেবল পায়ের ‘স্টেপিং’ পরীক্ষা করতেন। এখন থেকে তৃতীয় আম্পায়ার সব রকম নো বল পরীক্ষা করতে পারবেন। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর এ পরিবর্তন।

২০২৩ সালের শুরুতে ভারত সিরিজে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার কিপার অ্যালেক্স ক্যারি বেশ কয়েকবার স্টাম্পিংয়ের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু এ আবেদনে কট বিহাইন্ডও চেক করেন আম্পায়ার। কট বিহাইন্ডের জন্য রিভিউ না নিয়েও তারা ওই একই আবেদনে কট বিহাইন্ডের সুবিধা পেয়ে যায়।

এখন থেকে আর সে সুযোগ নেই। কারণ নতুন নিয়ম অনুযায়ী স্টাম্পিংয়ের আবেদনে ক্যামেরার মাধ্যমে শুধু পাশ থেকে দেখবেন আম্পায়াররা, বল ব্যাটে লেগেছে কি না দেখা হবে না। সেটা চেক করতে হলে আলাদা রিভিউ নিতে হবে।

আইসিসির নতুন সংশোধনে বলা হয়েছে, ‘এ পরিবর্তনের ফলে স্টাম্পিং রিভিউ শুধু স্টাম্পিং চেক করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ফলে ফিল্ডিং দলের প্লেয়ার রিভিউ না নিয়ে ফ্রি অন্য আউট (কট বিহাইন্ড) রিভিউর সুযোগ পাবে না।’

সর্বশেষ খবর