রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডিফেন্ডার জহিরের চিরবিদায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ডিফেন্ডার জহিরের চিরবিদায়

বয়স নব্বই ছুঁইছুঁই করছিল। তাই শরীরটাও ভেঙে পড়েছিল। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় জহিরুল হক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বাসায় আর ফেরা হলো না তাঁর। হাসপাতালেই গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার জহির। ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম তাঁর। একই মাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জহির। তাঁর মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাতে গোনা যে কজন বাঙালি ফুটবলার পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জহির। ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধিনায়কও। ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়ান গেমসে খেলেন পাকিস্তান জাতীয় দলে। তবে তাঁর পরিচয় বা খ্যাতিটা এসেছে ঢাকা মোহামেডানে খেলেই। মোহামেডানের জহির ভাই বলেই তাঁকে অনেকে চিনতেন। ১৯৬০ সালে যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে। পাঁচবার মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে মোহামেডান টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি অবসরে যান।

১৯৭৫ সালে তিনি আর লিগ খেলেননি। পরের বছর আউটার স্টেডিয়ামে (পল্টন ময়দান) ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ফুটবলকে বিদায় জানান জহির। মোহামেডানে খেলে তিনবার আগাখান গোল্ডকাপ, পূর্ব পাকিস্তান আমলে স্বাধীনতা কাপে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম ফুটবল আসর স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে জাতীয় পুরস্কার পান জহিরুল হক।

সর্বশেষ খবর