বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

একজন বেকেনবাওয়ার

ক্রীড়া ডেস্ক

একজন বেকেনবাওয়ার

শৈল্পিক, সুপরিকল্পিত আর প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল খেলে প্রশংসিত হয়েছেন ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। সতীর্থ, প্রতিপক্ষ, কোচ এবং ফুটবলবোদ্ধাদের মতে, তিনি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা। ফুটবলের সম্রাট হিসেবেই ডাকা হতো বেকেনবাওয়ারকে। ডাকনাম হয়েছিল ‘ডার কাইজার’ (অর্থ সম্রাট)। ফুটবলের সম্রাট গত শুক্রবার পৃথিবী ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন। ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাওয়ার সিনিয়র (বেকেনবাওয়ারের বাবা) ডাক বিভাগে কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর বিধ্বস্ত মিউনিখে জন্ম বেকেনবাওয়ারের। পরিবারের অসচ্ছলতা দূর করতে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু ফুটবল খেলার জন্য সব ছেড়ে দেন তিনি। যোগ দেন এসসি মিউনিখে। ১৯৫৯ সালে নাম লেখান বায়ার্ন মিউনিখে। এর পরই বদলে যায় সবকিছু। মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন তিনি। পরবর্তীতে সেন্টার ডিফেন্ডার হয়ে ওঠেন। তিনিই প্রথম সেন্টার ব্যাক থেকে আক্রমণের সূচনা করেন। লং রানে যোগ দিতেন ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে। তার খেলায় মুগ্ধ হয়ে যেত দর্শক। প্রতিপক্ষ আতঙ্কে থাকত। পশ্চিম জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে অনেক শিরোপা জয় করেছেন। ব্যক্তিগত ট্রফির সংখ্যাও কম নয়। অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব ছিল শুধু বেকেনবাওয়ারেরই। তিনি ১৯৭৪ সালে জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে এবং ১৯৯০ সালে জার্মানির কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয় করেন। ইউরো কাপ জয় করেন ১৯৭২ সালে। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জয় করেন টানা তিনবার (১৯৭৩-৭৪, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬)। দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন ডি’অর জয় করেন ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে। ফ্র্যাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের চিরবিদায়ে ফুটবল বিশ্বে চলছে শোকের মাতম।

 

যত অর্জন

বিশ্বকাপ ট্রফি  : ১৯৭৪ (অধিনায়ক), ১৯৯০ (কোচ)

ইউরো কাপ  : ১৯৭২ (অধিনায়ক)

আন্তর্জাতিক ম্যাচ  : ১০৩

আন্তর্জাতিক গোল  : ১৪

ক্লাব ম্যাচ  : ৭৫৪

ক্লাব গোল  : ৯৮

বুন্দেসলিগা  : ১৯৬৯, ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৪, ১৯৮২

জার্মান কাপ  : ১৯৬৬, ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১

ইউরোপিয়ান কাপ  : ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬

সকার লিগ  : ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮০

ব্যালন ডি’অর  : ১৯৭২, ১৯৭৬

ফিফা অর্ডার অব মেরিট  : ১৯৮৪

সর্বশেষ খবর