শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিসিবি সভাপতি পাপন এখন ক্রীড়ামন্ত্রী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিসিবি সভাপতি পাপন এখন ক্রীড়ামন্ত্রী

পূর্ণ মন্ত্রীর তালিকায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম ঘোষণার পর ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে সংশয় ছিল, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তো এতদিন প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় পরিচাালিত হয়েছে। সেখানে পূর্ণ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন কি না, এ নিয়ে সংশয় ছিল? শেষ পর্যন্ত পাপনই হলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী। পাপনই প্রথম, যিনি কোনো ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গণের নতুন অভিভাবক হলেন। ১৯৭৯ সালে দেশের প্রথমবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠন হয়। সেই থেকে প্রতিমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয় পরিচালিত করছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ শহিদুল ইসলাম, নিতাই চন্দ্র দাস, মীর্জা আব্বাস, সাদেক হাসেন, ওবায়দুল কাদের, ফজলুর রহমান পটল, আহাদ আলি সরকার, বীরেন শিকদার ও উপমন্ত্রী হিসেবে আরিফ খান জয় ও সর্বশেষ জাহিদ আহসান রাসেল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।    

পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে গতকাল শপথ নিয়েছেন কিশোরগঞ্জ ৬ আসনের সংসদ নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি। শোনা যাচ্ছে, তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, বিসিবি সভাপতি পদে নাজমুল হাসান পাপন মেয়াদাকাল শেষ করবেন, ‘নাজমুল হাসান পাপন সভাপতি হিসেবে তার বর্তমান মেয়াদকাল শেষ করবেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কি করবেন? তবে এই মুুহর্তে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে চাইছেন না।’ ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি পদে থাকতে পারবেন নাজমুল হাসান পাপন।  তিনি বিসিবির প্রথম সভাপতি হন ২০১২ সালে। এরপর তিনি সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২১ সালে।

ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন, নাজমুল হাসান পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ায়, বিসিবির সভাপতি পদে দেখা যেতে পারে সংসদ হিসাবে নির্বাচিত দুই ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব হাসানের যে কোনো একজনকে। তবে বিসিবি সিইও স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, বর্তমান সভাপতির বর্তমান মেয়াদকাল পর্যন্ত দুজনের কোনো সম্ভাবনা নেই, ‘সাকিব কিংবা মাশরাফির বিসিবি সভাপতি পদে বসার কোনো বাস্তবতা নেই।’ আইসিসিরি নিয়ম অনুযায়ী এবং বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি হতে হলে প্রথমে বোর্ড পরিচালক হতে হবে। সাকিব এবং মাশরাফির দুজনের কেউই বোর্ড পরিচালক নন। এ প্রসঙ্গে বিসিবি সিইও বলে, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতিকে অবশ্যই বোর্ড পরিচালক হতে হবে। এর আগে পরিচালক হতে হলে সবার আগে কাউন্সিলর হতে হবে।’

সর্বশেষ খবর