রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিরোপাই টার্গেট টাইগার্সের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শিরোপাই টার্গেট টাইগার্সের

বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই খেলছে খুলনা। প্রথম কয়েকটি আসরে খেলেছিল খুলনা রয়্যালস নামে। এরপর খুলনা টাইটান্স নেমে। গত চারটি আসরে দলটি খেলেছে খুলনা টাইগার্স নামে। দলটি একবার মাত্র বিপিএলের ফাইনাল খেলেছিল। ২০১৯ সালে প্রথমবার খুলনা টাইগার্স বিপিএলের ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয়। এ ছাড়া খুলনা রয়্যালস প্রথম আসরের সেমিফাইনাল খেললেও ফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। প্লে অফ খেলেছে ২০১৩, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০২২ সালে। সর্বশেষ আসরের লিগ পর্ব পার হতে পারেনি খুলনা। এবার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন দলটির কোচ তালহা জুবায়ের, ‘খুলনা ফাইনাল খেলার জন্যই খেলবে। যদিও অনেক কঠিন। তার পরও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ফাইনাল খেলা সম্ভব।’ তালহা এবারই প্রথম হেড কোচ হিসেবে বিপিএলে কোচিং করাচ্ছেন। এর আগে খুলনা দলেরই সহকারী কোচ ছিলেন। বিপিএলের আসন্ন আসরে খুলনা টাইগার্সের প্রথম ম্যাচ ২০ জানুয়ারি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খুলনার প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো বড় তারকা ক্রিকেটার নেই খুলনায়। তার পরও এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদুল হাসান জয়, রুবেল হোসেনদের মতো তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। বিদেশি ক্রিকেটাররা আবার পরিচিত মুখ। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস, শাই হোপ, শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, কাসুন রাজিথা এবং পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ায় সন্তুষ্ট কোচ তালহা জুবায়ের, ‘দল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমাদের দলের সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটাররা যথেষ্ট পরিপক্ব। সবাই নিজেদের সেরাটা দিতেই প্রস্তুত।’ দলের কোন বিভাগ শক্তিশালী? এ প্রসঙ্গে খুলনার কোচ তালহা বলেন, দলের সেরা শক্তি বোলিং বিভাগ, ‘আমাদের বোলিং বিভাগ অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। দলের পেস বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ, রুবেলের মতো ফাস্ট বোলার রয়েছেন। তরুণ পেসাররাও ভালো।’ খুলনার পেস বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার রুবেল হোসেন। তাকে সাহচর্য দেবেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা, সুমন খান, মুকিদুল ইসলাম এবং তিন বিদেশি ফাহিম আশরাফ, কাসুন রাজিথা ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। দলের একমাত্র বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। দলে অলরাউন্ডার চারজন। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। যিনি অফ স্পিন অলরাউন্ডার। বিদেশিদের মধ্যে অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, সিমিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও সিমিং অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দুজন- এনামুল হক বিজয় ও যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। এনামুল হক বিজয় আবার দলনায়ক। গতকাল দলটি অনুশীলন শুরু করেছে বিকেএসপিতে।

খুলনার ব্যাটিং লাইনে রয়েছেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয়, হাবিবুর রহমান সোহান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, পারভেজ হোসেন ইমন এবং বিদেশি কোটায় দুই ক্যারিবীয় শাই হোপ ও এভিন লুইস। ব্যাটিং, বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী বিবেচনা করেই ফিল্ডিং বিভাগকে সবচেয়ে শক্তিশালী বলেছেন খুলনার কোচ তালহা, ‘আমাদের দলে তরুণ ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি। আমি বিশ্বাস করি আসরের সেরা ফিল্ডিং সাইড হবে আমাদের।’

সর্বশেষ খবর