মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দলীয় সমন্বয়ে আস্থা রংপুর রাইডার্সের

মেজবাহ্-উল-হক

শুরুতেই ‘হার’ যেকোনো দলের জন্যই ‘সতর্কবার্তা’! বড় টুর্নামেন্টে এমন বার্তা বড় দলের মনোবলকে আরও দৃঢ় ও চাঙ্গা করতে সহযোগিতা করে এবং শক্তিমত্তাকে যে হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয় তা সব শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। যে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিরুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়েছিল সেই অসিরাই কিন্তু ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

তাই ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারকে সতর্কবার্তা হিসেবে আমলে নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আজ প্রবল পরাক্রমে মাঠে ফিরতে চাইছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের হট ফেবারিট দল রংপুর রাইডার্স। উত্তরাঞ্চলের দলটির সামনে আজ মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই ম্যাচেই জয়ে ফিরতে মরিয়া রংপুর।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নিজস্ব মাঠে অনুশীলনের পর গতকাল মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন কোচ রাইডার্স সোহেল ইসলাম। যদিও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। বলার কথাও না। তবে তার শিষ্যরা যে আজ মিরপুরে দাপট দেখানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছেন, তা জানাতে ভুল করেননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে (হার), এটা হতেই পারে। অনেক দলেরই হয়। সেই দলই ভালো যারা এখান থেকে বাউন্স ব্যাক করতে পারে। প্রথম ম্যাচে কোথায় কোথায় আমাদের ভুল ছিল তা শুধরে নিয়ে এই ম্যাচে নামার চেষ্টা করছি। কীভাবে ভালো অবস্থায় চলে আসতে পারি সে নিয়ে চিন্তা করছি। প্রথম ম্যাচের ফল নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি ছেলেরা খুব ভালোভাবেই ফিরবে।’

প্রথম ম্যাচের পরেই একটা দুঃসংবাদ পেয়ে গেছে রংপুর রাইডার্স, তাদের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানকে এ ম্যাচে পাচ্ছে না। চোখের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে আরেকটি সুসংবাদ তারা পেয়েছে, একাদশে যুক্ত হচ্ছেন পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজম। আজকের ম্যাচে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের খেলার সম্ভাবনাও প্রবল। বাবর সম্পর্কে সোহেল বলেন, ‘ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আসলে বাবর আজম কেমন টি-২০তে, তা তো বলার দরকার নেই। তিনি আসবেন, কোথায় খেলবেন তা আগে থেকেই সেট করা আছে। এটা টিমের জন্য অবশ্যই অনেক ভালো।’

কে বড় ক্রিকেটার আর কে ছোট ক্রিকেটার এটা টি-২০ ক্রিকেটে খুব একটা ম্যাটার করে না। দলীয় সমন্বয়ই বড় কথা। জিততে হলে সবার আগে প্রয়োজন দলগত পারফরম্যান্স। তাই ব্যক্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে খুব একটা ভাবছেও না রংপুর রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণেই সাকিব এ ম্যাচে খেলতে না পারলেও তা নিয়ে দুঃচিন্তা করছেন না কোচ সোহেল, ‘যেকোনো সময় যেকোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়তেই পারেন। নাম যত বড়ই হোক না কেন, রংপুর রাইডার্স-আমরা টিম হিসেবেই খেলতে চাই। প্রত্যেকটা ম্যাচে ৭-৮ জন ক্রিকেটার ভূমিকা রাখবেন দলকে জেতানোর ব্যাপারে। এই বিষয়টাই চিন্তা করছি। আমরা দল হিসেবে খেলতে চাই। ইনজুরিতে বড়-ছোট কোনো খেলোয়াড় পড়তেই পারেন, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। সব মিলেই কীভাবে আমরা সামগ্রিকভাবে ভালো খেলতে পারি সে চিন্তা করছি।’

প্রথম ম্যাচে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল রংপুর। কিন্তু মাত্র ১৩৪ রান করেও বোলারদের দাপটে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে রংপুর। তবে এ ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরবেন বলেই আশা করছেন সোহেল। যদিও মিরপুরের রহস্যময় উইকেটের আচরণ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন রংপুরের কোচ। ১৫০-১৬০ রানকেই ফাইটিং স্কোর মনে করেন। উইকেট নিয়ে সোহেলের ভাষ্য, ‘আসলে মিরপুরের উইকেট কন্ডিশনের (আবহাওয়া) ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কখনো অনেক বেশি ডিউ থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম আচরণ করে। আমার দেখা একমাত্র উইকেট যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় ক্যারেক্টার চেঞ্জ করে। তবে রোদ থাকলে এক রকম হতো। যেহেতু কন্ডিশন (আবহাওয়া) চেঞ্জ হচ্ছে, তাই কঠিন হচ্ছে (খেলা)। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে এর মধ্যেই খেলতে হবে।’

সর্বশেষ খবর