প্রচ- চাপের মুখে অসাধারণ সব ইনিংস খেলার রেকর্ডস রয়েছে সাকিব আল হাসানের। একাই বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। অথচ চোখের সমস্যায় বিপিএলে নিয়মিত ব্যাটিং করছেন না। বিপিএলের চলতি আসরে টাইগার অধিনায়ক খেলছেন রংপুর রাইডার্সের পক্ষে। দুই ধাপ শেষে সাবেক চ্যাম্পিয়ন রংপুর ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে রান রেটে সবার ওপরে অবস্থান করছে। অথচ সাকিব খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ। ব্যাটিং করেছেন ৩ ইনিংসে। কিন্তু দুই অঙ্কের কোনো স্কোর করতে পারেননি এখনো। চোখের সমস্যায় দেশসেরা ক্রিকেটার ব্যাটিং করতে না পারলেও বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাপট লক্ষণীয়। ব্যাট এবং বল হাতে সেরা পাঁচে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাপট অনেক। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে তিনজন স্থানীয়। ৬ ম্যাচে ২২৯ রান করে সবার ওপরে মুশফিকুর রহিম। একই অবস্থা বোলিংয়েও। শীর্ষ পাঁচ বোলারের তিনজনই স্থানীয়। ১০টি করে উইকেট পেয়েছেন তিন বোলার- শেখ মেহেদি হাসান, শরীফুল ইসলাম ও এনগ্রাভা।
এ বছর টি-২০ বিশ্বকাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে আসর। ২০ ওভারের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিপিএল ঘিরে পরিকল্পনা করেছে বিসিবি। উইকেটগুলোতে যেন ব্যাটাররা রান করতে পারেন, সেজন্য স্পোর্টিং উইকেট বানানো হয়েছে। যদিও কুয়াশার দাপটে এখনো বড় কোনো স্কোরের দেখা মেলেনি। আসরের এখনো বাকি দুই ধাপ। আগের দুই ধাপের কোনো ম্যাচে দুইশ ঊর্ধŸ স্কোর হয়নি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান করে চট্টগ্রাম। সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড খুলনা টাইগার্সের। বরিশালের ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান টপকে যায় খুলনা ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে। সবচেয়ে কম স্কোর করেছে চট্টগ্রাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬.৩ ওভারে ৭২ রানে অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম।
বোলিংয়ে শীর্ষ পাঁচ বোলারের তিনজন পেসার। একজন স্থানীয় এবং দুজন বিদেশি। রংপুরের অফ স্পিনার শেখ মেহেদি ওভারপ্রতি ৫.৮৩ স্ট্রাইক রেটে উইকেট নিয়েছেন ১০টি। শরীফুল ১০ উইকেট নিয়েছেন ৮.৩৬ স্ট্রাইক রেটে। কুমিল্লার বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ৫ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। এনগ্রাভা ১০ উইকেট নিয়েছেন ৬ ম্যাচে। পেসার বিলাল খান ৯ উইকেট নিয়েছেন ৬ ম্যাচে। স্থানীয় বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ ৬ ম্যাচে ৭, মুস্তাফিজুর রহমান ৫ ম্যাচে ৭, খালেদ আহমেদ ৫ ম্যাচে ৭, সাকিব ৫ ম্যাচে ৬ এবং আল আমিন ৬ ম্যাচে উইকেট নেন ৬টি।