শুধু মাঠের লড়াইয়ে নয়। সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও চমক দেখাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। ঢাকা ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়ায় ১৯৪৮ সালে। প্রায় ৭৬ বছর হতে চলল এ আসর। প্রথম বিভাগ, সিনিয়র ডিভিশন ও প্রিমিয়ার লিগ নাম দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। ২০০৭ সাল থেকে তা পেশাদার ফুটবলে রূপান্তরিত হয়। যদিও ঢাকার ক্লাবগুলোকে নিয়েই মূলত খেলা হচ্ছে। তারপরও পেশাদার লিগকে তো আর ঢাকার আসর বলা যায় না। নাম হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। সংক্ষেপে যাকে বিপিএল বলা হয়। বাংলাদেশের ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত নামও বিপিএল। কিন্তু ফুটবলের বিপিএলের শুরুটা হয় আগেই।
ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগ থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দেখতে দেখতে ঘরোয়া ফুটবলের বয়স হয়েছে ৭৬ বছর। কত রেকর্ড গড়ে তা ভাঙাও হয়েছে। কিন্তু ২০১৮-১৯ মৌসুমে আগমনের পর নতুন দল হিসেবে বসুন্ধরা কিংস যে রেকর্ডগুলো গড়েছে তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। মাঠের লড়াইয়ে একের পর এক ইতিহাস গড়ে চলেছে বসুন্ধরা কিংস। অভিষেকের পর টানা চার লিগ ছাড়াও দুবার করে ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টানা পঞ্চম শিরোপার পথে এগোচ্ছে তারা। শুধু মাঠের লড়াই নয়, এবার ৭৬ বছর ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে নতুনত্ব এনেছে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে অতীতে। এবারে তার ব্যতিক্রম এনেছে কিংসই। ৬০, ৭০, ৮০ ও ৯০ দশকের সাবেক তারকা ফুটবলারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের হাত দিয়েই সেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যারা দেশের ফুটবলে অবদান রেখেছেন তারা ছিলেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে বন্দি। বাফুফে সহসভাপতি ইমরুল হাসান লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে তাদেরকে সম্মানিত করছেন। লিগে নতুনত্ব আনতে কিংস অ্যারিনায় কিংস ও শেখ রাসেলের হোম ম্যাচে সাবেক তারকাদের দিয়েই ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যা দেশের ঘরোয়া ফুটবলে কখনো ঘটেনি। প্রথম লেগে জাকারিয়া পিন্টু, গোলাম সারোয়ার টিপু, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আবদুল গাফফার, শেখ মো. আসলাম, কায়সার হামিদ, শফিকুল ইসলাম মানিক, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বির ও সাইফুল বারী টিটুরা ইমরুলের আমন্ত্রণে ছুটে এসেছেন কিংস অ্যারিনায়। প্রথম লেগে ১১ জন খ্যাতনামা ফুটবলার পুরস্কার দিয়েছেন। দ্বিতীয় লেগে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।