বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
৫৫ বলে ৮৭ রানের জুটি

দুরন্ত জয়ে সিরিজে ফেরা

দ্বিতীয় টি-২০

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুরন্ত জয়ে সিরিজে ফেরা

হাফ সেঞ্চুরি করতে দরকার ৩ রান। দলের দরকার ২ রান। ছক্কা মারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খেললেন হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এক বছর পর টাইগার অধিনায়কের বীরোচিত হাফ সেঞ্চুরি ও তৌহিদ হৃদয় এবং লিটন-সৌম্যর ওপেনিং জুটিতে ভর করে ৮ উইকেটের পর্বতসমান জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অসাধারণ এই জয়ে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। ৯ মার্চ সিরিজ মীমাংসার ম্যাচ। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-২০ ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। আবার বিতর্কও। ইতিহাস বলে যে, ম্যাচ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সেই ম্যাচে জয়োচ্ছ্বাসে মেতেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এক ম্যাচে একটি বাউন্সার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সেবার মুস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্সার মেরেছিলেন উদানা। রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছিলেন মুস্তাফিজ। বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল বাউন্সারটিকে আম্পায়ার ওয়াইড না ডাকায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিরক্ত টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠ থেকে দলকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠ ছাড়েনি দল এবং ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ছক্কায়। গতকাল সিলেটে একই রকম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল সৌম্য সরকারের একটি আলট্রা-এজ নিয়ে। ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।

সৌম্যকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি চতুর্র্থ ওভারের প্রথম বলে। বিনুরা ফার্নান্দোর বলে পুল করেন সৌম্য। বল গ্লাভসবন্দি করে আউটের আবেদন করেন উইকেটরক্ষক কুশল। আউট দেন ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সৌম্য। কিন্তু টিভি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল জানান, বল ও ব্যাটের মধ্যে ‘গ্যাপ’ ছিল। তাই সৌম্য নটআউট। সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি সফরকারী ক্রিকেটাররা। তারা মাঠের আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। অবশ্য মাঠ ছাড়ার হুমকি দেয়নি সফরকারীরা। দলের স্কোর তখন ৩.১ ওভারে বিনা উইকেটে ২৮ এবং সৌম্যর রান ১৪। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সাজঘরে ২২ বলে ৫ চারে ২৬ রান করে। ১৬৬ রানের টার্গেটে দুই ওপেনার সৌম্য ও লিটন ৬.৫ ওভারে ৬৮ রানের ভিত দেন। লিটন সাজঘরে ফেরেন দলীয় ৮৩ রানে। লিটন ৩৬ রান করেন ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। নাজমুল অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রানে এবং তৌহিদ অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে।

প্রথম টি-২০ ম্যাচে ১৯টি অতিরিক্ত রান দিয়েছিল টাইগার বোলাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মাত্র ৫টি। টাইগারদের সুইং, গতি ও ঘূর্ণিতে সাবলীল ছিলেন না সফরকারী শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। সাবলীল ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কার ২০৬ রানের বিপক্ষে ২০৩ রান করেছিল টাইগাররা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর