পেশাদার ফুটবল লিগে সেকেন্ড উইন্ডোতে চলছে দলবদল। ১০ দলের অংশ নেওয়া এই লিগের দ্বিতীয় লেগে অধিকাংশ ক্লাবই নতুন খেলোয়াড় সংগ্রহ করছে। এখানে মূলত বিদেশিরা প্রাধান্য পাচ্ছেন। শক্তি বাড়াতে দলগুলো তৎপর। প্রথম লেগে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস অবশ্য এ ক্ষেত্রে এখনো নীরব রয়েছে। ক্লাবের অফিসিয়ালরা জানিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় পাওয়াটা কষ্টকর। চেষ্টা চালাব, তবে পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। সব বিদেশি ও স্থানীয় ফুটবলারের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। তারপরও কিংস শিবির চিন্তামুক্ত তাও বলা যাবে না। তারিক কাজী ও শেখ মোরসালিন ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে ডাক পাননি। দ্বিতীয় লেগে তারা কিংসের হয়ে মাঠে নামবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। তা ছাড়া লাল কার্ডের কারণে কিংসের শততম লিগ ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ডরিয়েলটন গোমেজকে পাবে না।
পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা মোহামেডান দ্বিতীয় লেগে আরেকজন বিদেশিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন ফুটবল টিমের সেক্রেটারি ও ক্লাব পরিচালক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। তিনি বলেন, আমরা খেলোয়াড় খুঁজছি তবে সেই মানের খেলোয়াড় পাচ্ছি না। তৃতীয় স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনী ইতোমধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার আনাটাও তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে ফুটবল দলের ম্যানেজার সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন বিদেশি আনার সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্ত করিনি। বিষয়টি ক্লাব ম্যানেজমেন্ট দেখছে।
সাবেক চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র দ্বিতীয় লেগে নতুন বিদেশি ফুটবলার নামাতে তৎপর। ক্লাবের অর্থ পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন জানান, ‘আমরা দলের শক্তি বাড়াতে নতুন নেব। এ ক্ষেত্রে প্রথম লেগে খেলা বিদেশি ফুটবলারও পরিবর্তন হতে পারে। দু-তিন দিনের মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যাবে কারে আমরা পাচ্ছি।’ ফর্টিস এফসিতে দেখা যাবে নেপালি ফুটবলার অঞ্জনবিস্টাকে। চট্টগ্রাম আবাহনীতেও পরিবর্তন আসছে।