বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাংলাদেশের দাপুটে জয়

সাগর পাড়ে পেসারদের দাপট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাগর পাড়ে পেসারদের দাপট

সিলেটের পর চট্টগ্রামের উইকেটেও সবুজ ঘাস! সিলেটের উইকেটে সাধারণত সবুজ ঘাস না থাকলেও বাউন্স বেশি। গতিও বেশি। এবার টি-২০ সিরিজে ঘাস ছিল। দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। চট্টগ্রামের উইকেট আন ইভেন। সেটার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে সবুজ ঘাস। সেই বাউন্সের সঙ্গে ঘাসের সুবিধা পুরোপুরি আদায় করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন পেসার- তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম সাকিব। তিন পেসারই গতির সুঙ্গে সুইং ও বাউন্সের মিশেলে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বেঁধে রেখেছেন চট্টগ্রামে। গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ওয়ানডে ম্যাচের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। উইকেটের সুবিধা নিয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ২৫৫ রানে বেঁধে ফেলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ।

সিলেটে টি-২০ সিরিজ হেরেছে নাজমুল বাহিনী। এবার চট্টগ্রামে খেলতে নেমেছে ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফাই রাউন্ড শুরু হলো। গতকাল টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই লঙ্কান পেসার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৭১ রান তুলে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন নাজমুল বাহিনীকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। তার সুইংয়ে বোকা বনে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন আভিস্কা ফার্নান্দো। দলের স্কোর তখন ১ উইকেটে ৭১। ১২ ওভারের প্রথম বলে ফের আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। এবার তার স্লো অফ বাউন্সে পুল খেলেন নিশাঙ্কা। কিন্তু বল ব্যাটের মাথায় লেগে গালিতে সহজ ক্যাচ দেন সৌম্য সরকারকে। বিনা উইকেটে ৭১ থেকে ১৭ রান হতেই দুই ওপেনার ফেরেন সাজঘরে। দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। ইনিংসের ৭ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে টাইগাররা। সফরকারীদের ইনিংসের ১০ উইকেটে ৯টি নেন তিন পেসার শরিফুল, তাসকিন ও তানজিম সাকিব এবং একটি নেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

৮৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন কোণঠাসা, তখনই অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালঙ্কা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২.১ ওভারে যোগ করেন ৪৪ রান। জুটি যখন বড় হচ্ছিল, তখনই আঘাত হানেন স্পিনার মিরাজ। ২৬ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলে আশালঙ্কাকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপর আবার চেপে ধরার সুযোগ পায় টাইগাররা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগে ১১.২ ওভার বা ৬৮ বলে ৬৯ রান যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। অধিনায়ক মেন্ডিস ৭৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাসকিনের বলে। ১৯৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর সফরকারীরা বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লিয়ানাগেকে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে শরিফুল আউট করলে তাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। চারিথ আশালঙ্কার ছাড়া বাকি সবার উইকেট নেন শরিফুল, তাসকিন ও তানজিম সাকিব। তিন পেসারই নিজেদের মধ্যে অলিখিত প্রতিযোগিতা করে ৩টি করে উইকেট নেন। তাসকিন ও শরিফুল একটু খরুচে ছিলেন। কিন্তু তানজিম সাকিব ছিলেন মিতব্যয়ী। লঙ্কানদের শেষ ক্যাচটি দারুণভাবে নেওয়া তানজিম সাকিবের স্পেল ছিল ৮.৪-০-৪৪-৩। তাসকিনের স্পেল ১০-১-৬০-৩ এবং শরিফুল ৯.৫-১-৫১-৩।

ইদানীং বাংলাদেশের পেসাররা দারুণ পারফরম্যান্স করছেন। টাইগার পেসারদের মধ্যে অলিখিত প্রতিযোগিতাও চলছে। দারুণ বোলিং করেও স্কোয়াডে সুযোগ পাননি হাসান মাহমুদ। একাদশের বাইরে রয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর