শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হৃদয়ে ৪ রানের কষ্ট

নিশানকার সেঞ্চুরি, সমতায় শ্রীলঙ্কা

আসিফ ইকবাল

হৃদয়ে ৪ রানের কষ্ট

তৌহিদ হৃদয়

গত মার্চে ওয়ানডে অভিষেক। ক্যারিয়ারের সূচনা ইনিংসে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়। সিলেটের ওই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ৯২ রানে। এরপর গত এক বছরে বেশ কয়েকটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। পুনেতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। কিন্তু গতকালের মতো এতটা হতাশ হননি কখনো। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোসে ভুগেছেন। মাত্র ৪ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন। সেঞ্চুরি করতে না পেরে কষ্ট পেয়েছেন। তাসকিন আহমেদকে সঙ্গী করে একরাশ হতাশা নিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, স্কোর বোর্ডে তখন বড় করে দেখাচ্ছিল তৌহিদ হৃদয় অপরাজিত ৯৬। অবশ্য ভাগ্য একটু সহায় হলে সেঞ্চুরি হয়েও যেত! ৫০তম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে টানা ২ ছক্কায় ৮৪ থেকে ৯৬ রানে পৌঁছান। একই ওভারের চতুর্থ বলে যদি স্কুপ শটটি ব্যাটে লাগত, তাহলে হয়তো ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতেন। সেঞ্চুরি করতে না পারার আফসোসে ভুগতেন না। তার হতাশার হাফসেঞ্চুরির ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হতাশার কালো চাদরেই ঢাকা পড়েছিল। হেরে গেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে তৌহিদ প্রথম ক্রিকেটার নন, ৯৬ রানে আউট হওয়া। তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একবার ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। এ ছাড়া দুবার ৯৮* ও ৯৮ রান করেছিলেন যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাকিব আল হাসান ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শামসুর রহমান শুভ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হয়েছেন ৯৬ রানে।

নিশানকার সেঞ্চুরি, সমতায় শ্রীলঙ্কা

ওয়ানডে অভিষেকের পর গত এক বছরে ২৯টি ওয়ানডে খেলেছেন। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। গতকালের ইনিংসটি ছিল আগ্রাসি মেজাজে। এতটাই আগ্রাসি মেজাজে ব্যাটিং করেছেন যে, শেষ ১০ ওভারে ৮০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ; যার ৪৯ রান তৌহিদের। শেষ ৫ ওভারে যোগ করেন ৫৪ রান। তৌহিদ গতকাল ৯৬ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন ১০২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। প্রথম ৫০ রান করেন ৭৪ বলে ২ চারে। পরের ৪৬ রান করেন ২৮ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায়। তিনি সপ্তম উইকেট জুটিতে তাসকিনের সঙ্গে ২৩ বলে ৫০ এবং ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তানজিম সাকিবের সঙ্গে ৪৭ রান যোগ করেন ৬২ বলে।

নাজমুল বাহিনী প্রথম ওয়ানডে জেতে ৬ উইকেটে ৩২ বল হাতে রেখে। গতকাল সিরিজ জয়ের টার্গেটে প্রথমে ব্যাট করে টস হেরে। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করে নাজমুল বাহিনী। প্রথম ওয়ানডের মতো পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার লিটন দাস। প্রথম ওয়ানডেতে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন। গতকালও আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে। ৯১ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা লিটনের ১৪তম শূন্য। তার চেয়ে বেশি শূন্য করেছেন তামিম ইকবাল ১৯ বার, হাবিবুল বাশার ১৮ বার এবং ১৫টি করে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোহাম্মদ রফিক।

তৌহিদের আফসোস ও লিটনের টানা শূন্যের রেকর্ডের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। শুরুতে জীবন পাওয়া সৌম্য ৬৮ রান করেছেন ৬৬ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায়। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৪০ রান করেন ৩৯ বলে। মুশফিক ২৫ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর