বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ হয়ে গেল। গতকাল কুয়েতের জাবের আল আহমেদ স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। তাই ফলাফল কী হয়েছে সে তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফিফা র্যাঙ্কিং ও শক্তির বিচারে ফিলিস্তিনের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। এমনকি একাধিক গোলেও জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গতকালকের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ছয়বার মুখোমুখি হয়েছিল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। এক ম্যাচ ড্র করাটাই লাল-সবুজদের ছিল বড় প্রাপ্তি। পাঁচ ম্যাচই জিতে গেছে ফিলিস্তিন। সে হিসেবে বাংলাদেশের ড্র করাটাও হবে জয়ের মতো। আর জামালরা যদি দেশকে জয় উপহার দেন তা হবে ইতিহাস।
বাংলাদেশের চেয়ে ফিলিস্তিনের ফুটবল ইতিহাসটা বেশ পুরনো। তবে মানের দিক দিয়ে পিছিয়েছিল। এক সময়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও তাদের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। অথচ সেই ফিলিস্তিনকে হারানোটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতির বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু শান্তি জিনিসটা কী তা ফিলিস্তিনিদের জানা নেই। জন্ম থেকেই জ্বলছে তারা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সেই কবে থেকে। গতকাল যখন তারা কুয়েতে খেলছিল তখনো হয়তো ইসরায়েলি হামলায় বিভিন্ন শহর ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হয়েও ফুটবলে তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কাছে এশিয়া কাপ খেলাটাও এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিন এবার এশিয়াকাপে নকআউট পর্বে উঠে চমক দেখিয়েছে। ২৫ বছরের হিসাব মেলালে বাংলাদেশের অবনতি এবং ফিলিস্তিনের উন্নতি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ১৯৯৯ সালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ফিলিস্তিনের অবস্থান ছিল ১৯১। বাংলাদেশের ছিল ১৪৮। ৪৩ ধাপ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে দুই দেশের পার্থক্যটা চমকিয়ে দেওয়ার মতো। সর্বশেষ ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ফিলিস্তিন ৯৭ অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩ নম্বরে। ৮৬ ধাপ পিছিয়ে জামালরা গতকাল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। বাংলাদেশ ফুটবল-পাগল দেশ। লোকাল ফুটবলে টাকার ছড়াছড়ি। অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনিদের হোম ম্যাচ খেলতে হয় অন্য দেশে। তারাই কি না কতটা পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশকে।কখনো কি এ দৃশ্য বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?