মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

এ ব্যর্থতার কোনো অজুহাত নেই

শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হার নাজমুলদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এ ব্যর্থতার কোনো অজুহাত নেই

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ৩২৮ রানের আকাশসমান ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। রানের সংখ্যায় এর চেয়ে বড় ব্যবধানে টাইগারদের হার রয়েছে আরও ৫টি। সবচেয়ে বড় হার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে হেরেছিল ৪৬৫ রানে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে। বন্দরনগরীতে আবার দুই দলের ওয়ানডে সিরিজটি জিতেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আকাশসমান ব্যবধানে হারের কথা মিডিয়ার মুখোমুখিতে স্বীকার করেছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। আবার একই সঙ্গে জানিয়েছেন, সিলেটের উইকেটে দুই দলের ওপর সারির ব্যাটাররাই ব্যর্থ হয়েছেন। ভুল বলেননি টাইগার অধিনায়ক। তবে সিলেটের ভুলগুলো শুধরে চট্টগ্রামে ভালো খেলার আশা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি, এমন নয়। দুই দলের টপ অর্ডারেরই সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচ (চট্টগ্রাম) ভালো করব।’

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রান করে নাজমুল বাহিনী। দুই ইনিংস মিলিয়ে একটি মাত্র পঞ্চাশোর্ধ স্কোর রয়েছে টাইগারদের। সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৮৭ রানে। মুমিনুলের স্কোরটি ছাড়া দুই ইনিংসের স্কোরগুলো বলছে কতটা বাজে ব্যাটিং করেছেন নাজমুল শান্ত, মাহামুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, লিটন দাসরা। বিশেষ করে ছন্দ হারানো লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে শট খেলে আউট হয়েছেন, এ নিয়ে চরমভাবে সমালোচিত হচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। তার পক্ষে অবশ্য সাফাই গেয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘লিটনের আউটটা নিয়ে আসলে আমি বলতে পারব না। লিটনই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তবে হ্যাঁ, সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে এ ধরনের আউট খুব একটা দেখা যায় না।’ প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করা লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলে অহেতুক চার্জ করেন ফার্নান্দোকে। বল ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ হন লিটন। আউট হন শূন্য রানে। শুধু লিটন নন, অধিনায়ক নাজমুল প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রান করেন। ওপেনার মাহামুদুল জয় ১২ ও ০, জাকির ৯ ও ১৯, শাহাদাত দীপু ১৮ ও ০ এবং মেহেদি মিরাজ ১১ ও ৩৩ রান করেন। এমন স্কোর যে দলের ব্যাটারদের, সেই দলের জয়ের পক্ষে বাজি না ধরাই ভালো। এমন ব্যর্থতার টেস্টে শ্রীলঙ্কার দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি বেঁধে যোগ করেন ২০২ রান। ধনাঞ্জয়া করেন ১০২ রান ও কামিন্দু ১০২। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুজনে সেঞ্চুরি করেন। ১২৬ রানে ৬ উইকেটের পতনের পর ১৭৩ রান যোগ করেন জুটিতে। ম্যাচসেরা ধনাঞ্জয়া ১০৮ ও কামিন্দু ১৬৪ রান করেন। দুজনই দুই ইনিংসে একত্রে রান করেন ৪৭৬। অথচ বাংলাদেশ দুই ইনিংসে মোট রান করে ৩৭০। শ্রীলঙ্কা দুই ইনিংসে রান করে ৬৯৮ (২৮০ ও ৪১৮)।  

 

সর্বশেষ খবর