বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবাহনীতে বিধ্বস্ত মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীতে বিধ্বস্ত মোহামেডান

ফুটবল কিংবা হকিতে মোহামেডান প্রায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারালেও ক্রিকেটে কয়েক বছর ধরে পাত্তাই পাচ্ছে না। রীতিমতো উড়ে যাচ্ছে। অথচ ২০০০ সাল পর্যন্ত সমান তালে লড়াইয়ে সামর্থ্য ছিল। এখন দুই দলের ক্রিকেট মানেই আবাহনীর জয়। যদি হারে তা অঘটন বলেই বিবেচিত হয়। সেই অঘটনও ঘটাতে পারেনি মোহামেডান। গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনী ৮ উইকেটে মোহামেডানকে বিধ্বস্ত করেছে। এ জয়ে টানা আট ম্যাচে জয় পেয়ে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হলো তাদের। সমান ম্যাচে মোহামেডানের এটি দ্বিতীয় হার। গতকাল বিকেএসপিতে আরও দুই ম্যাচ ছিল। যানজটের কারণে দলগুলো সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আজ দুটি খেলা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বোচ্চ ২১ বার লিগ জেতা আবাহনী এবারও সবার সেরা দল গড়েছে। প্রতিটি ম্যাচ জিতেই তার প্রমাণও দিচ্ছে। মোহামেডান সেই মানের ক্রিকেটার সংগ্রহ না করলেও লিগে পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে নাটকীয়ভাবে এক ম্যাচ হেরে যায়। তবে প্রাইম ব্যাংক ও শেখ জামালের মতো শিরোপাপ্রত্যাশী দলকে হারিয়ে তারা আবাহনীর বিপক্ষে ফতুল্লা খান সাহেব আলী স্টেডিয়ামে খেলতে নামে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি ঘটলেও ঘরোয়া লিগ ঘিরে এখন কোনো উত্তাপই নেই। তারপরও আবাহনী মোহামেডানের ম্যাচ বলে যত কথা। সাদা কালোয় সমর্থকরা আশায় ছিলেন প্রিয় দল এবার হতাশ করবে না। হয়েছে তার উল্টোটা।

এটা ঠিক আগের কয়েক বছরে লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর জয়ে আম্পায়ারিং নিয়ে কম বেশি বিতর্ক ছিল। গতকালকের ম্যাচে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। ব্যাট, বল, ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই দাপটের স্বাক্ষর রেখে জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডান। মাত্র ৫৭ রানে মূল্যবান ৫ উইকেটের পতন হয়। রনি তালুকদার, ইমরুল কায়েস, মাহেদুল ইসলাম অঙ্কন লিগে তিন সেঞ্চুরিয়ান দাঁড়াতেই পারেনি। এমন বিপর্যয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে মোহামেডান ১৯০ রান তুলতে পেরেছে এটাই বড় ব্যাপার। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৮৩ বলে ৫৪, আরিফুল হকের ৫৪ বলে ৩৩ ও আবু হায়দারের ২২ রানে তা সম্ভব হয়। তানজিব হাসান সাকিব ৩১ রানে ৩, তাসকিন আহমেদ ৫৮ রানে ২ উইকেট পান।

সত্তর দশকের শেষের দিকে আবাহনীর বিপক্ষে ৭৯ ও ৪৯ রান করেও লিগে মোহামেডানের জয়ের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু গতকাল আবাহনী ছিল অপ্রতিরোধ্য। হাতে ১৫ ওভার রেখে ২ উইকেট হারিয়েই জিতে যায়। জাকের আলী ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৭৮, নাইম ৬২ বলে ৬৩ ও আফিফ হোসেন ৩৯ রান করে দলকে বড় জয় উপহার দেন।

সর্বশেষ খবর