বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

এ হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এ হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই

বড় ব্যবধানে হারের কোনো অজুহাত খোঁজেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। সরাসরি দোষারোপও করেননি কোনো ক্রিকেটারকে। তবে প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন, টেস্ট খেলার মতো শতভাগ টেম্পারমেন্ট নেই ক্রিকেটারদের। ভুল বলেছেন কি টাইগার অধিনায়ক? না। টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষ দলকে দুবার আউট করতে হবে, ৫০ শতাংশের ক্যাচগুলোকে শতভাগে পরিণত করতে হবে। ব্যাটারদের খেলতে হবে বড় ইনিংস এবং গড়তে হবে বড় জুটি। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট এমন ছবির দেখা মেলে কালেভদ্রে। যখনই দেখা মেলে, তখনই বাজিমাত! বাকি সময় হতাশায় নিমজ্জিত ছবি! চট্টগ্রামে টেস্টে ১৯২ রানের পাহাড়সমান ব্যবধানে হারের পর বিধ্বস্ত চেহারায় মিডিয়ার মুখোমুখি হন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল। মিডিয়ার মুখোমুখিতে তিনি হারের ব্যাখ্যায় কোনো অজুহাত দেননি। বরং স্বীকার করেছেন ব্যর্থতার কথা, ‘পুরো সিরিজে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেক কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করিনি।’ সত্যিই তো। সিলেটে ৩২৮ রানে হারের টেস্টে বাংলাদেশের দুটি ইনিংস ছিল যথাক্রমে ১৮৮ ও ১৮২। চট্টগ্রামে সফরকারী শ্রীলঙ্কার ৫৩১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৭৮ রানে। এরপর ৫১১ রান তাড়া করতে নেমে মুমিনুল হকের ৫০ ও মেহেদি হাসান মিরাজের অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে ৩১৮ রান করে বাংলাদেশ।

সিলেটের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে নাজমুল বাহিনী সাবলীল ব্যাটিং করেনি। প্রতিটি ইনিংসে ক্যাচ মিস করেছে একাধিক। ক্যাচ মিসের খেসারত গুনেছে টেস্ট হেরে। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শ্রীলঙ্কা যেখানে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে, সেখানে ছয় ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। টাইগাররা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৭৮ রানে। হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস সাকল্যে একটি, ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়ের ৫৪। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগার বোলাররা ঘুরে দাঁড়ান। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে দল। সফরকারীরা টার্গেট দেয় ৫১১ রানের আকাশসমান। সেই টার্গেটে খেলতে নেমে পুনরায় ব্যর্থ হন স্বাগতিক ব্যাটাররা। বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি। পারেনি কোনো সেঞ্চুরির ইনিংস খেলতে। চতুর্থ টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে চার হাজারি রানের ক্লাবে নাম লেখানো মুমিনুল হক খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। এ ছাড়া লেট অর্ডারে মেহেদি হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। আর কোনো ব্যাটারই বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। অথচ সবাই সেট হয়ে আউট হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে। এটার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি টাইগার অধিনায়ক, ‘ব্যাটিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে। কিন্তু বড় রান করতে পারেননি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় রান করতে হবে।’

চলতি বছর ১২টি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ স্থগিত করেছে বিসিবি। আগস্টে পাকিস্তান, এরপর ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে। ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে। টেস্ট সিরিজে ভালো করতে এবং খেলতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি বেশি খেলার বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না টাইগার অধিনায়ক, ‘তিন ফরম্যাট যারা খেলে না, তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ থাকে। সামনে যত খেলা আছে আমাদের এভাবেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। টেস্টে ভালো করতে আমাদের বেশি বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।’

সর্বশেষ খবর