শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘরোয়া ফুটবলে আসছে নতুনত্ব

২৯ মে লিগ শেষ ১ জুন দলবদল

‘সারা বিশ্বে ফুটবলে দলবদলের জন্য উইন্ডো খোলা হয় জুনে। বাংলাদেশ এর বাইরে থাকবে কেন? বাংলাদেশে যে সময় দলবদল হয়ে আসছিল তাতে ক্লাবগুলোকে নানা সমস্যায় পড়তে হতো’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৯ মে লিগ শেষ ১ জুন দলবদল

ইমরুল হাসান

বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের দ্বিতীয় লেগের খেলা দিয়ে ২৯ মে চলতি মৌসুমের পেশাদার লিগের পর্দা নামবে। দুই দিন পরই ১ জুন নতুন মৌসুমের দলবদল শুরু হবে। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এ এক বড় চমক। অতীতে লিগ শেষ হওয়ার ছয় বা নয় মাস পর দলবদল হতো। পেশাদার লিগের আগমনের পর সময় অনেক কমে এলেও শেষ হওয়ার পর দুই দিনের ব্যবধানে দলবদল ভাবাই যায় না। এবার তা-ই হতে চলেছে। ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে বুধবার বাফুফের প্রফেশনাল লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ভিডিও কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, লিগ ছাড়া নতুন মৌসুমে অন্য কী কী টুর্নামেন্ট হতে পারে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। লিগ শেষ হওয়ার পর দুই দিনের ব্যবধানে নতুন মৌসুমের দলবদল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অসম্ভবই বলা যায়। দলবদল মানেই তো বড় ফান্ডের প্রয়োজন। এত দ্রুত ক্লাবগুলো অর্থ সংগ্রহ করবে কীভাবে? নতুন দলবদলের কার্যকারিতা আবার অন্যরকম। ১ জুন দলবদল শুরু হলেও তা চলবে আড়াই বা তিন মাস ধরে; যাতে ক্লাবগুলো কোনো সমস্যায় না পড়ে।

প্রশ্ন উঠেছে, লিগে নতুনত্ব বা আকর্ষণীয় করে তুলতে এ পথ বেছে নিয়েছে কি না? কেননা বাফুফের সহসভাপতি ইমরুল হাসান পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রথম আয়োজনে নতুনত্ব এনেছেন; যা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। একঘেয়েমি ও বিরক্তি দূর করতে এবার লিগে যা করা হচ্ছে তাতে আকর্ষণ ও জলুশও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে আগের গৎবাঁধা ফিকশ্চারে পরিবর্তন আনাটা। মহানগরী লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েও ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে জুনিয়র লিগগুলোয় প্রাণ ফিরেছে। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বটা আরও চ্যালেঞ্জের। একটু ভুল হলেই সমস্যা। দায়িত্ব পাওয়ার পর ইমরুল বলেছিলেন, বিশ্ব ফুটবলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লিগ আয়োজন করতে চান। তা বাস্তবায়নের জন্যই কি নতুন মৌসুমে নতুনত্ব আনা হচ্ছে? এ ব্যাপারে গতকাল আলাপ হলে ইমরুল বলেন, ‘সারা বিশ্বে ফুটবলে দলবদলের জন্য উইন্ডো খোলা হয় জুনে। বাংলাদেশ এর বাইরে থাকবে কেন? বাংলাদেশে যে সময় দলবদল হয়ে আসছিল তাতে ক্লাবগুলোকে নানা সমস্যায় পড়তে হতো। আন্তর্জাতিক উইন্ডোর সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ক্লাবগুলো মানসম্পন্ন বিদেশি খেলোয়াড় আনতে পারে না। যাদের কেউ নেয় না তারাই বাংলাদেশে আসে। তা-ও আবার মান সন্তোষজনক নয়। অথচ অর্থ খরচ হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল উইন্ডো মেনে চললে যাচাইবাছাই করে ভালোমানের বিদেশি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। তা ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার বিদেশি লিগে অফার পেলে খেলতে পারবেন।’

ইমরুল বলেন, ‘বিষয়গুলো কমিটির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এসবের বিস্তারিত ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বাফুলের নির্বাহী কমিটি। আন্তর্জাতিক উইন্ডো মেনে দলবদলে সমস্যার কিছু দেখছি না। কেননা ১ জুন শুরু হলে তা শেষ হবে আগস্টের দিকে। এমনিতেই তো আগস্ট থেকে দলবদল হতো। সেপ্টেম্বরে স্বাধীনতা কাপ দিয়েই নতুন মৌসুম শুরু করার টার্গেট রয়েছে। লিগ আর ফেডারেশন কাপ একই সঙ্গে হবে। তবে গ্যাপ দিয়ে। তা ছাড়া ফের সুপারকাপ আয়োজনের চিন্তা রয়েছে। লিগের শীর্ষ চার বা পাঁচ দলকে নিয়ে এ টুর্নামেন্ট হতে পারে। ঘরোয়া আসর আকর্ষণীয় করে তুলতে যা যা দরকার সেটাই করতে চাই।’ লিগ বা বিভিন্ন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে যে ট্রফি দেওয়া হতো তাতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন মৌসুমে চট্টগ্রাম ও খুলনায় লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম প্রস্তুত থাকলে তো আরও ভালো। পেশাদার লিগ খেলা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের দলবদল এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে। এখন থেকে এ লিগ নিয়মিত হবে। শৃঙ্খলা বজায় রেখে লিগ কমিটি আরও কঠোর হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর