শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

‘ব্যর্থতা ঘোচাতে বেশি খেলার বিকল্প নেই’

‘ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার মানসিকতা শক্তিশালী করতে বেশি বেশি খেলার আয়োজন করতে হবে। এজন্য প্রতি বছর ‘এ’ দলের ৪-৫টি ট্যুর থাকা জরুরি। কারণ, ‘এ’ দল জাতীয় দলের বিকল্প দল।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘ব্যর্থতা ঘোচাতে বেশি খেলার বিকল্প নেই’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ সারপ্রাইজড। দুটি ম্যাচ এমনভাবে হারবে, ভাবিনি। সত্যি বলতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এতটা বাজে খেলার মতো দল নয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট সিরিজ হারের পর কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার। টি-২০ হারের পর ওয়ানডে সিরিজ জেতে নাজমুল বাহিনী। কিন্তু টেস্ট সিরিজে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- কোনো বিভাগে পাত্তা পায়নি টাইগাররা। সিলেটে ৩২৮ রানে হার। এরপর চট্টগ্রামে হার ১৯২ রানে। দুই দুটি হারের পর সাবেক টেস্ট অধিনায়ক ও নির্বাচক বাশার হতাশা পোষণ করেছেন নাজমুল বাহিনীর পারফরম্যান্স নিয়ে। একই সঙ্গে উন্নতির পথও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলার মানসিকতা শক্তিশালী করতে বেশি বেশি খেলার আয়োজন করতে হবে। এ জন্য প্রতি বছর ‘এ’ দলের ৪-৫টি ট্যুর থাকা জরুরি। কারণ ‘এ’ দল জাতীয় দলের বিকল্প। জাতীয় দলে খেলছেন কিংবা খেলবেন- এমন ক্রিকেটারদের নিয়েই ‘এ’ দল গঠন করা হয়।’

চট্টগ্রামে হারের পর টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক।’ সাবেক নির্বাচক বাশার সাবেক অধিনায়কের মন্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ করেননি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের। ‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো এক-দুটি দেশ ছাড়া অধিকাংশ দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের পার্থক্য রয়েছে।’ দলের হারের জন্য সাবেক অধিনায়ক বাশার যেমন হতাশ হয়েছেন। তেমনই হতাশার কারণও জানিয়েছেন। অবাক হয়েছেন ওপরের সারির ব্যাটারদের পুরোপুরি ব্যর্থতায়। তিনি বলেন, ‘দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের অন্যতম কারন, ওপরের সারির ব্যাটারদের ব্যর্থতা। একসঙ্গে সবাই ব্যর্থ হবে, ভাবতে পারিনি। দেখেন, মাহামুদুল হাসান জয় সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। কিন্তু এখানে ব্যর্থ। জাকির হাসানও বাইরে সাফল্য পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থ। অধিনায়ক নাজমুল আগের সিরিজে ছন্দে ছিলেন। এবার পারেননি। কেন এমন হয়েছে, বুঝতে পারছি না। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে অবশ্য বেশি বেশি খেলার কোনো বিকল্প নেই।’ ওপরের সারির ব্যাটিং নিয়ে হতাশ হলেও পেসারদের প্রশংসা করেছেন বাশার, ‘কয়েক বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছিলাম পেস বোলিংয়ে উন্নতি করতে। এখন পেসাররা দারুণ বোলিং করছেন।’

টেস্ট সিরিজে নাজমুল বাহিনীর সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন মুমিনুল হক। চট্টগ্রামে অবশ্য যোগ দেন সাকিব আল হাসান। এ দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছাড়া দলের সবাই তরুণ। ছন্দে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, মাহামুদুল হাসান জয়, জাকির হোসেন, শাহাদাত হোসেন দীপুরা। এদের ব্যর্থতায় মুশফিকুর রহিমের অভাব বুঝা গেছে বলেন সাবেক এ নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মুশফিকের মতো একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের অভাব ছিল দলে। সে খুবই সিরিয়াস ক্রিকেটার। যখন টেস্ট খেলা থাকে না তখন সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে। অথচ অন্য ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে সুযোগ পেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এড়িয়ে যায়।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষ। এখন প্রস্তুতি টি-২০ বিশ্বকাপের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলার আগে ঘরের মাটিতে মে মাসে পাঁচ টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নাজমুল বাহিনীর চোখ এখন জিম্বাবুয়ের সিরিজের দিকে।

সর্বশেষ খবর