রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবু হায়দারের ৭ উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবু হায়দারের ৭ উইকেট

ম্যাচসেরা আবু হায়দার রনি

রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ২৪৬ বল হাতে রেখে জিতেছিল শাইনপুকুর। গাজীপুর টায়ার্সকে গতকাল মোহামেডান ৯ উইকেটে হারিয়েছে ২৬২ বল হাতে রেখে! মোহামেডানের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি। বিকেএসপিতে বাঁ-হাতি পেসারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র ১৮.২ ওভারে। রনির দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী টায়ার্স ১২ ওভারে অলআউট হয় ৪০ রানে। মোহামেডান সেটা টপকে যায় ৬.২ ওভার বা ৩৮ বল খেলে। আবু হায়দার রনির স্পেল ৬-১-২০-৭! একই দিন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা ৯ জয় পেয়েছে আবাহনী। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী এবং মিরপুরে প্রাইম ব্যাংককে ৭৩ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামালের সাইফ হাসান ১১৫ রান করেন। শেখ জামাল ও মোহামেডানের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১৪। আবাহনীর ৯ ম্যাচে ১৮। ২০১২ সালে অনূর্র্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপে কুয়েতের বিপক্ষে ১০ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন রনি। সেটা লিস্ট-‘এ’ ম্যাচ ছিল না। ওই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। মোহামেডানের পক্ষে নতুন বলেও বোলিং করেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিনিও ৬ ওভারের স্পেলে ৩ উইকেট নেন। রনি তার স্পেলের প্রথম দুই ওভারে ৪ উইকেট নেন। শেষ ২ ওভারে নেন বাকি ৩ উইকেট। চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে রনি উইকেট নিয়েছেন ২০টি। দারুণ বোরিং করে উৎফুল্ল রনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আজকের ম্যাচটা আমার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার। ভালো করতে সবসময় ভালো লাগে। যেহেতু এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ভালো বোলিং ফিগার। আজকের দিনটা অবশ্যই আমার জন্য স্পেশাল।’ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটা দ্বিতীয় সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। সেরা বোলিং ইয়াসিন আরাফাতের। ২০১৭-১৮ মৌসুমে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের ইয়াসিন। গতকাল রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে গাজী টায়ার্স ৪০ রানে অলআউট হয়। দেশের লিস্ট-‘এ’ ক্রিকেটে এট তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০০২ সালে জাতীয় ক্রিকেটে সিলেটের বিপক্ষে ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল চট্টগ্রাম। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ২০১৩ সালে আবাহনী ৩৫ রানে অলআউট করেছিল সিসিএসকে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর