শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

কেবল উৎসবই বাকি আবাহনীর

আসিফ ইকবাল

কেবল উৎসবই বাকি আবাহনীর

ম্যাচ হারলেও বিজয়ী আবাহনীর ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি শেখ জামাল ধানমন্ডির অধিনায়ক সোহান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক খেলছে গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে। সুপার লিগ নিশ্চিত করতে প্রাইমকে জিততেই হবে- এমন সমীকরণের ম্যাচে খেলেননি সৌম্য সরকার। ইনজুরির জন্য এবার লিগই খেলেননি। গতকাল তিনি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছেন দুই শিরোপাপ্রত্যাশী দল আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ম্যাচ। হতাশ হয়েছেন একপেশে ম্যাচ দেখে। ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র ৩৩ ওভারে। দুপুর ১২টার আগেই খেলা শেষ! শুধু সৌম্য নন, খেলা দেখতে আসা দর্শকরাও হতাশায় ডুবেছেন। ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি শেখ জামাল। নাজমুল হোসেন শান্তের আবাহনী এতটাই দাপুটে ক্রিকেট খেলছে, ১১ ম্যাচে টানা জয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের লিগ পর্ব শেষ করেছে সবার ওপরে থেকে। ১০ উইকেটের হারে শেখ জামালের দ্বিতীয় স্থানের হেরফের হয়নি। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেলেও শিরোপা লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছে প্রায়। টানা জয়ে এখন শিরোপা উৎসবের অপেক্ষা করছে আবাহনী। সুপার লিগের ৬ ম্যাচের ২টি জিতলেই শিরোপা ধরে রাখবে নাজমুল বাহিনী। ফতুল্লা স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমের ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে প্রাইম ব্যাংক ১৪১ রানে গাজী টায়ার্সকে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে। সুপার লিগে খেলতে হলে শাইনপুকুরকে হারাতেই হতো মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ড অব রূপগঞ্জকে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় পারেনি। ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুরের ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের জবাবে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৮৯ রান।

প্রচন্ড দাবদাহে ক্রাহিনকুল অবস্থা জনজীবনের। এমন গরমেই গতকাল হেভিওয়েট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও শেখ জামাল। আবাহনী পূর্ণ শক্তি নিয়ে খেলেছে। জামালের একাদশে ছিলেন না দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। লিগে মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে ১০৬ রান ও উইকেট নিয়েছেন ৬টি। তাকে ছাড়াই দুইয়ে উঠেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে শেখ জামাল। চামড়া পোড়া গরমেও জমাটি লড়াইয়ের আশা করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু আবাহনীর চার বোলার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও তানজিম সাকিবের বিধ্বংসী বোলিংয়ে শেখ জামাল মাত্র ২২.৪ ওভারে গুড়িয়ে যায় ৮৮ রানে! দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন ওপেনার সৈকত আলি। এ ছাড়া আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ১০ বলে ১৬ রান করে মাত্র ৩ চারে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। শেষ দিকে তাইবুর রহমান পারভেজ ১৪ ও ইয়াসির আলি ১৭ রান করলে ৮৮ রান করে শেখ জামাল। ম্যাচসেরা শরিফুলের স্পেল ৭-১-৩৫-৪। আরেক পেসার তাসকিনের স্পেল ৫-১-১৬-২। তানজিম সাকিবের স্পেল ৪-০-২২-১ ও বাঁ হাতি স্পিনার তানভিরের স্পেল ৪.৪-০-৭-২।

টার্গেট মামুলী ৮৯ রান। টস হেরে বিধ্বংসী বোলিং করা আবাহনী জিততে বল খরচ করেছে মাত্র ১০.২ ওভার। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাইম শেখ শুরু থেকে চড়াও হয়ে খেলে ২৩৮ বল হাতে রেখে টানা ১১ নম্বর জয় উপহার দেন দলকে। নাইম ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৪০ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায়। লিগে নাইমের এটা চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। ১১ ম্যাচে তার রান ১ সেঞ্চুরি ৪ হাফসেঞ্চুরিতে ৪৮৯। ৫৮৫ রান করে সবার ওপরে প্রাইম ব্যাংকের পারভেজ হোসেন ইমন। এনামুল বিজয় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায়।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব : ৮৮/১০, ২২.৪ ওভার (সাইফ হাসান ১৬, সৈকত আলি ২৩, রবিউল ৪, ফজলে মাহমুদ ১, নুরুল হাসান সোহান ০, তাইবুর পারভেজ ১৪, ইয়াসির আলি ১৭, জিয়াউর রহমান ২, ইয়াসিন ১, মেহেদি ০*, শফিকুল ০। শরিফুল ইসলাম ৭-১-৩৫-৪, তাসকিন আহমেদ ৫-১-১৬-২, তানজিম সাকিব ৪-০-২২-১, তানভীর ৪.৪-০-৭-২, মোসাদ্দেক সৈকত ২-০-৫-১)।

আবাহনী : ৯১/০, ১০.২ ওভারে (এনামুল বিজয় ৩৭*, মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫৩*। শফিকুল ৩-০-১৮-০, ইয়াসিন ৩-০-২৩-০, মেহেদি ৩-০-৩৪-০, রবিউল ১-০-৯-০, ফজলে মাহমুদ ০.২-০-৬-০)

ফল : আবাহনী ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা : শরিফুল ইসলাম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর