দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান হকি ম্যাচের গল্পটা হতে পারত ভিন্ন স্বাদের। হতে পারত মোহামেডানের শিরোপা জয়ের গল্প গাঁথায় ভরা। সাদাকালো শিবিরের আনন্দের গল্প, উচ্ছ্বাসের গল্প। কিন্তু গল্পটা তেমন হয়নি। এগিয়ে থেকেও আবাহনীর খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারিতে লিপ্ত হয়ে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় সাদাকালো শিবির। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় মোহামেডানের। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি দলটির। মেতে ওঠা হয়নি শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে। বরং ‘রিফিউজ টু প্লে’ করে ম্যাচ হারের তিক্ত স্বাদ নেয়। খেলা বন্ধ থাকায় রেফারি ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেন। রেফারি বাইলজ অনুযায়ী আবাহনীকে ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করেন। মোহামেডানের অস্বীকৃতিতে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার হকি লিগের শিরোপা নির্ধারণী গড়ায় বাইলজে। নিয়ম অনুযায়ী পয়েন্ট সমান হলে শিরোপা নির্ধারিত হবে প্লে-অফ ম্যাচ খেলে। প্লে-অফ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আবাহনী এবং মেরিনার্স ইয়াংস। দিনের প্রথম ম্যাচে মেরিনার্স ৪-২ গোলে হারায় পুলিশকে।
মোহামেডান, আবাহনী ও মেরিনার্স তিন দলেরই হকি লিগের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ছিল উজ্জ্বল। মোহামেডানের পয়েন্ট ছিল ৩৫ এবং আবাহনী ও মেরিনার্সের পয়েন্ট ছিল সমান ৩৪। সন্ধ্যায় আবাহনীকে হারালেই ২০১৮ সালের পর মোহামেডান শিরোপা জয়ে মেতে উঠত। ২০১৬ সালের পর শিরোপা উৎসবে মাততে আবাহনীকে জিততেই হতো। আবাহনীর মতো সমীকরণ ছিল মেরিনার্সেরও। পুলিশকে হারাতেই হতো। দিনের প্রথম ম্যাচে পুলিশকে ৪-২ গোলে হারায় মেরিনার্স। মেরিনার্স জিতলেও সারাজীবনের আক্ষেপ রয়ে যায় সোহানুর রহমান সবুজের। সম্ভাবনা ছিল ২৯ বছরের পুরনো রফিকুল ইসলাম কামালের ৪০ গোল ভাঙার রেকর্ড। গতকাল পেনাল্টি স্ট্রোকে একটি গোল করেন। কিন্তু মিস করেন ৫টি পেনাল্টি কর্নার। ফলে ১৯৯৫ সালে কামালের গড়া ৪০ গোলের রেকর্ড অক্ষত রয়ে যায়। সবুজের গোলসংখ্যা ৩৯টি।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়দের। আবার পিছিয়ে থেকেও
বাইলজ অনুযায়ী জয় পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আবাহনী। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মেরিনার্স তাদের শিরোপা সম্ভাবনা টিকে থাকায়। এখন প্লে-অফে নিষ্পত্তি হবে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা কারা জিতবে।