মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিরোপার আরও কাছে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শিরোপার আরও কাছে আবাহনী

দুরন্ত গতিতে ছুটছে আবাহনী। ১২ ম্যাচে ১২ জয় নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তের আবাহনী এখন শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায়। এক ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করতে পারবে দলটি। অবশ্য আনঅফিশিয়ালি আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন বলাই যায়! পয়েন্ট টেবিলের পরের দুটি দল শাইনপুকুর ও মোহামেডানের সঙ্গে আবাহনীর পয়েন্ট ব্যবধান ৬। প্রচন্ড গরমে মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল আবাহনী ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংককে। বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ১৩ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপকে এবং ফতুল্লা স্টেডিয়ামে ৩ সেঞ্চুরির ম্যাচে মোহামেডান ৫ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। আবাহনীর টানা জয়ের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। খেলেছেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ১১ ইনিংস পর পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন।  ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম।       

শিরোপা ধরে রাখতে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছে আবাহনী। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৩৯.৩ ওভারে ১৭৮ রান করে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩.৩ ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। লিগ পর্বে সবচেয়ে বেশি রান করা পারভেজ হোসেন ইমন আউট হন শূন্য রানে। বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে নেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম ১১২ রানের জুটি গড়ে। মুশফিক ৪৪ রান করলেও জাকির আউট হন ৭০ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে। মুশফিক ইনিংসটি খেলেন ৬৫ বলে। আবাহনীর সফল বোলার শরিফুলের স্পেল ৮-০-২৭-৩। ১৭৯ রানের টার্গেটে আবাহনী ১১.৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয়। লিটন ৫২.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ১০৬ বলে ৭ চারে। তৌহিদ হৃদয় ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন মাত্র ২৭ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। 

বিকেএসপিতে লো স্কোরিং ম্যাচে শাইনপুকুর ১৩ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপকে। শাইনপুকুরকে জয়ী করেন জাতীয় দলের লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার রিশাদ হাসান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে ৪ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান করেন। দুজনের দৃঢ়তায় শাইনপুকুরের সংগ্রহ ছিল ৩৪.৫ ওভারে ১৩৮ রান। জবাবে গাজী গ্রুপ অলআউট হয় ২৭.৪ ওভারে ১২৫ রানে। দারুণ বোলিং করেন রিশাদ। ম্যাচসেরা রিশাদের বোলিং স্পেল ৮-০-৩১-৪। ফতুল্লা স্টেডিয়ামে সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমানের ২২২ রানের জুটিতে শেখ জামালের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ২৫৯ রান। সাইফ ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায়। তাইবুর ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ১১৪ রানে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। অঙ্কনের ১২২ বলে ১০১ রানের ভর করে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে।

 


প্রাইম ব্যাংক : ১৭৮/১০, ৩৯.৩ ওভার  (জাকির ৬৮, মুশফিক ৪৪। শরিফুল ৮-০-২৭-৩, তাসকিন ৭.৩-১-৩৪-২, সাইফ উদ্দিন ৬.৪-০-২৯-১, তানভির ১০-০-৪৮-২, মোসাদ্দেক ৭-১-৩৪-২, শান্ত ০.২-০-৬-০)

আবাহনী : ১৮৩/৫, ৩৮.৩ ওভার (লিটন ৫৬*, হৃদয় ৫৫। হাসান ৫-০-৩০-০, আশিকুর ২-০-৭-০, সানজামুল ১০-০-৪৭-২, মেহেদি ১০-২-৪৩-১, জাকির ১-০-১-০, পারভেজ ০.৩-০-৬-০)

ফল : আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী,

ম্যাচসেরা : শরিফুল ইসলাম

 


শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব : ১৩৮/১০, ৩৪.৫ ওভার  (তানজিদ ৪২, রিশাদ ৩৩। রুয়েল ৫-০-২৬-১, পারভেজ ৭-২-১৬-১, মইন ৬-০-২৫-০, গাফফার ৬-১-২১-৩, হুসনা হাবিব ৮-১-২৮-৩, আওলাদ ২.৫-০-২২-২)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স : ১২৫/১০, ২৭.৪ ওভার  (মেহেদি ২৩, হাবিবুর ৪৪। নাহিদ ৬-০-২৬-১, সানি ৭-০-৪৫-৩, মুরাদ ৬.৪-০-২১-২, রিশাদ ৮-০-৩১-৪)

ফল : শাইনপুকুর ১৩ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : রিশাদ হোসেন।

 


শেখ জামাল ধানমন্ডি : ২৫৯/২, ৫০ ওভার (সাইফ হাসান ১২০, তাইবুর রহমান ১০২*। আবু হায়দার ৬-১-৩৪-০, নাসুম ১০-২-২৮-১, মেহেদি মিরাজ ১০-৪-১২-০, কামরুল  ৭-০-৫৪-০, আরিফুল ২-০-১৭-০)।

মোহামেডান স্পোর্টিং : ২৬৩/৫, ৪৯.৪ ওভার (মাহিদুল অঙ্কন ১০১, মাহমুদুল্লাহ ৮৭*।  রিপন ১০-০-৫১-২, শফিকুল ৯.৪-১-৫৯-১, তাইবুর ১০-১-২৩-১, জিয়া ৮-১-৩৩-১।

ফল : মোহামেডান ৫ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন

সর্বশেষ খবর