সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

টাইগাররা পাত্তাই দিল না জিম্বাবুয়েকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টাইগাররা পাত্তাই দিল না জিম্বাবুয়েকে

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়েছে তিনবার। তারপরও ভেসে যায়নি খেলা। বরং বৃষ্টিভেজা ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে সহজেই। ৬ উইকেটে জিতে ৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ বিকাল ৩টায়। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ম্যাচসেরা তৌহিদ হৃদয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে নাজমুল বাহিনী।

১৩৯ রানের টার্গেটে বৃষ্টিতে প্রথমবার যখন খেলা বন্ধ হয় তখন স্কোর বোর্ডে টাইগারদের রান ৫.১ ওভারে  বিনা উইকেটে ৩৪। দ্বিতীয়বার বন্ধ হয় ৮.২ ওভারে ১ উইকেটে ৫৬ রানের সময়। তৃতীয়বার বন্ধ হয় ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৬২ রানের মাথায়। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হয় ৭৭ রান। জয়ের সেই কাজটি সহজে সেরে নিয়েছেন তৌহিদ ও মাহমুদুল্লাহ ৪৯ রানের জুটি গড়ে। উইনিং বাউন্ডারি শটটি মারেন মাহমুদুল্লাহ। তৌহিদ অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।   

ছন্দে ফিরতে চাইছেন লিটন দাস। অথচ বড়  স্কোরের দেখা পাচ্ছেন না। প্রথম ম্যাচে করেন ১ রান। গতকাল দেখেশুনে খেলেও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ২ চার ও এক ছক্কার জন্য লিটন খেলেছেন ২৫ বল। ডান হাতি ওপেনার সর্বশেষ পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছিলেন ১৪ মাস আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। পরের ইনিংসগুলো ৫, ১৮, ৩৫, ৪১*, ০, ৩৬, ৭, ১ ও ২৩। তার এই ছন্দহীনতায় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। কারণ টি-২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একটি নিশ্চিত ওপেনিং জুটির সন্ধান পায়নি। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান তানজিদ তামিম আউট হয়েছেন ১৯ বলে ১৮ রান করে। ফের রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক। গতকাল আউট হয়েছেন ১৬ রানে। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২১ রান। জাকের আশা জাগিয়েও এনগ্রাভারের বলে ১৩ রান করে বোল্ড হন।               

জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে। বাঁ হাতি ক্রিকেটার জোনাথন ক্যাম্পবেল ইনিংসের ১০.৫ ওভারে শেখ মেহেদিকে সুইপ খেলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে ওঠে। একেবারেই সহজ ক্যাচ! বলের লাইনে যেয়েও গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি উইকেটরক্ষক জাকের। ক্যাম্পবেল তখন ব্যাট করছিলেন ১ রানে। দলের স্কোর ৫ উইকেটে ৪৪ রান। জীবন পেয়ে সাবেক অধিনায়ক অ্যালিয়েস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন খোলস ছেড়ে খেলা শুরু করেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে ক্যাম্পবেল ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করেন। ক্যাম্পবেল ৪৫ রান করেন মাত্র ২৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। শেষ দিকে বেনেট আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২০তম ওভারে সাইফুদ্দিনকে মেরে এক ছক্কা ও ২ চারে তুলে নেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারে সফরকারীরা সংগ্রহ করে ৫৭ রান। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে করেছিল ১২৪ রান। আগের ম্যাচের তুলনায় নাজমুল বাহিনীর ফিল্ডিং অনেক ভালো ছিল। লিটন একাই ক্যাচ ধরেন দুটি। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ক্যাচটি প্রায় ১০ মিটার দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে ধরেন। টাইগারদের সব বোলারই উইকেট নিয়েছেন। বিমেস করে লেগ স্পিনার রিশাদ ছিলেন সফল। মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করেন। তার স্পেল ছিল ৪-০-৩৩-২। সবচেয়ে মিতব্যয়ী তাসকিন আহমেদের স্পেল ৪-০-১৮-২। আগের ম্যাচে উইকেট না পেলেও গতকাল শরিফুলের স্পেল ছিল ৪-০-২৬-১। মিতব্যয়ী ছিলেন মেহেদিও। তার স্পেল ৪-০-১৮-১। আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া সাইফুদ্দিনের স্পেল ৪-০-৩৭-১।

সংক্ষিপ্ত  স্কোর

জিম্বাবুয়ে: ১৩৮/৭, ২০ ওভার (গাম্বি ১৭, মারুমানি ২, আরভিন ১৩, রাজা ৩, মাডান্ডে ০, বেনেট ৪৪*, ক্যাম্পবেল ৪৫, জঙ্গুয়ে ২, এনডিলোভু ৫*; শরিফুল ৪-০-২৬-১, মেহেদি ৪-০-১৮-১, তাসকিন ৪-০-১৮-২, সাইফউদ্দিন ৪-০-৩৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)।

 

বাংলাদেশ: ১৪২/৪, ১৮.৩ ওভার (লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, শান্ত ১৬, হৃদয় ৩৭*, জাকের ১৩, মাহমুদুল্লাহ ২২*; এনগারাভা ৪-০-৩২-১, মুজারাবানি ৩.৩-০-১৯-০, এনডিলোভু ৩-০-২৫-১, রাজা ৪-০-৩১-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৫-২)।

ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।

সর্বশেষ খবর