বুধবার, ৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

জিতেও আক্ষেপ হৃদয়ের

রাশেদুর রহমান

জিতেও আক্ষেপ হৃদয়ের

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৭ রান করেন হৃদয় ও জাকের।

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে আশার আলো হয়ে দেখা দিলেন তৌহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে এসে দুজন মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের খাতায় যোগ করলেন ৮৭ রান। এই জুটির দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংগ্রহ পেয়ে গেল বাংলাদেশ। এর বাইরে ব্যাটিংটা ছিল আগের মতোই। আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন ওপেনার লিটন দাস। ১৫ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২২ বলে ২১ রান করে তারই পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারলেন না। ৬ রান করে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজার শিকারে পরিণত হন শান্ত। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলল। সেখানে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়। এবার এলো জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে বেশ সতর্ক হয়ে খেলেছেন টাইগাররা। প্রথমে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং করিয়েছেন। গতকাল টসে হেরে আগে ব্যাটিং করেছেন টাইগাররা। পরীক্ষা দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে। এই পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেলেন তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ দুজন দৃঢ় হাতে ব্যাটিং করেন। ৩৮ বলে ৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন হৃদয়। তিনি ৩টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কাও হাঁকান। হৃদয় চলমান সিরিজে ভালোই খেলছেন। প্রথম ম্যাচে ৩৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় বললেন, ‘ম্যাচের চাওয়া অনুযায়ীই ব্যাটিং করেছি। আমাদের বড় একটা জুটির প্রয়োজন ছিল। তবে ১০ রান কম হয়েছে আামাদের।’ বড় স্কোরের আক্ষেপ থেকেই গেল বাংলাদেশের। জাকের আলি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ১৩ রান। গতকাল ৩৪ বলে করলেন ৪৪ রান। ৩টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জাকের। এ দুজনের ব্যাটেই স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছেন। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ অপেক্ষা করছে নাজমুল বাহিনীর সামনে। ব্যাটিংয়ে গতকাল বেশ ভালোই করেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ের শুরুটাও দারুণ হয়েছিল। সাইফুদ্দিন আর রিশাদরা শুরুর দিকেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তবে নবম উইকেট জুটিতে মাসাকাদজা ও আকরাম বেশ ভুগিয়েছেন টাইগার বোলারদের। সাইফুদ্দিন তিনটা উইকেট শিকার করেও ম্যাচের নায়ক হতে পারেননি ৪ ওভারে ৪২ রান দেওয়ায়। রিশাদও ২ উইকেট শিকার করতে গিয়ে খরচ করেছেন ৩৮ রান। মাহমুদুল্লাহ ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেছেন। তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সফল!

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ইনিংস : ১৬৫/৫, ২০ ওভার (হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, তানজিদ ২১, মুজারাবানি ৩/১৪)

জিম্বাবুয়ে ইনিংস : ১৫৬/৯, ২০ ওভার (আকরাম ৩৪*, মারুমানি ৩১, সাইফুদ্দিন ৩/৪২, রিশাদ ২/৩৮)

ফল : বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : তৌহিদ হৃদয়।

সর্বশেষ খবর