শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবাহনী-মেরিনার্স যুগ্মচ্যাম্পিয়ন!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনী-মেরিনার্স যুগ্মচ্যাম্পিয়ন!

প্রিমিয়ার হকি লিগে শিরোপা নির্ধারণের জন্য প্লে-অফ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। পয়েন্ট তালিকায় সমান পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে থাকা ঢাকা আবাহনী ও মেরিনার্স ইয়াংসকে যুগ্মচ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করাটা এখন সময়ের ব্যাপারই বলা যায়। মোহামেডান-আবাহনী লিগের শেষ ম্যাচে মোহামেডান ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হট্টগোল বাধে। ম্যাচ তখন ১৭ মিনিট বাকি ছিল। পরে মোহামেডানের দুজন লাল ও একজন হলুদ এবং আবাহনীর একজন লাল ও আরেকজনকে হলুদ কার্ড দেখান আম্পায়ার। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মোহামেডান আর মাঠে ফেরেনি। পরে আম্পায়াররা ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। অথচ ওই ম্যাচ জিতলে মোহামেডান একক চ্যাম্পিয়ন হতো।

আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করায় মেরিনার্সের সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে থাকে। ঘটনার পর হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ বলেন, এখানে কে বড় কে ছোট দল দেখার কিছু নেই। আইন সবার জন্য সমান। বাইলজ মেনেই আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। বাইলজ কেউ উপেক্ষা করতে পারে না।’ তিনি এও বলেছিলেন, ‘বাইলজে আছে প্লে-অফ। আবাহনী ও মেরিনার্স তা খেলতে বাধ্য। এখানে কোনো অজুহাত দেখালে চলবে না।’

শেষ পর্যন্ত তা কি মানা হচ্ছে? রবিবার লিগ কমিটির সভায় আবাহনী ও মেরিনার্সের কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্লে-অফে অংশ নেওয়া সম্ভব না। আর তাতে রাজি হয়ে যান সবাই। সভায় মুমিনুল হক সাঈদও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অবশ্য এক মিডিয়াকে বলেন, ‘এ বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গভর্নিং বডির কাছে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাব। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই ফাইনাল।’ গভর্নিং বডি মানে নির্বাহী কমিটি। যার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ নিজেই। সেখানে তো যুগ্মচ্যাম্পিয়নের সিদ্ধান্ত আসবেই। প্রশ্ন একটাই-বাইলজ ভাঙার অপরাধে মোহামেডানের যদি শাস্তি হয় সেখানে ফেডারেশন আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেয় কীভাবে?

সর্বশেষ খবর