বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোহামেডানকে হারালেই ট্রেবল শিরোপা কিংসের

বসুন্ধরা কিংস ৩ : ০ আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মোহামেডানকে হারালেই ট্রেবল শিরোপা কিংসের

এক মৌসুমে তিন শিরোপা জেতার আরও কাছে বসুন্ধরা কিংস। ২২ মে ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে ঢাকা মোহামেডানকে হারালেই ট্রেবল জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবে তারা। মৌসুমের প্রথম ট্রফি স্বাধীনতা কাপ ও পেশাদার লিগের পর এখন ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় রইল দেশের ফুটবল কিং বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে ঘরোয়া ফুটবলে টানা দুই মৌসুমে শিরোপার ট্রফিশূন্য থাকল ঢাকা আবাহনী। গতবার তো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছিল। এবার স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনাল খেলেই বিদায়। দুটোই হেরেছে কিংসের কাছে।

ট্রফিশূন্যতার হতাশা তো আছেই, জায়ান্ট আবাহনীর ৫১ বছর ফুটবল ক্যারিয়ারে আরেকটি লজ্জা যোগ হলো। গতকাল সেমিফাইনালে কিংসের সঙ্গে হেরে আবাহনী এক দলের কাছে পরাজয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক অর্থাৎ টানা ছয় ম্যাচ হারল। গত লিগে দুবার, এবার স্বাধীনতা কাপে ১, লিগে ২ ও ফেডারেশন কাপে ১- সবমিলিয়ে দুই মৌসুমে আবাহনীকে ছয়বার হারাল কিংস।

ট্রেবল জেতার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে কিংস তাদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করবে বলে অনেকের ধারণা ছিল। অথচ গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে রবসন, ডরিয়েলটন, মিগেল বা রাকিবরা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছিলেন তাও বলা যাবে না। হালকা মেজাজে খেলেই আবাহনীকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। মৌসুমে অন্তত এক শিরোপা জেতার আশা বাঁচিয়ে রাখতে আবাহনীর যে পারফরম্যান্স করার কথা তার দেখাই মেলেনি। কেন জানি তাদের মাঠে ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। এটা ঠিক কিংসই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তবে সাধারণত তারা যে গতিময় খেলা খেলে প্রতিপক্ষকে দিশাহারা করে রাখে, তা বলা যাবে না। বরং কিছুটা রিলাক্স মুডেই খেলেছে বলা যায়। আর আবাহনী ছিল মন মরা। হেসে খেলেই ফেডারেশন কাপে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠে গেছে বসুন্ধরা কিংস।

সেমিতে আবাহনীর বিপক্ষে ২১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় কিংস। প্রতিপক্ষের বক্সের ভিতর রাকিব হোসেনের কাছ থেকে বল পেয়ে জাল স্পর্শ করেন রবসন রবিনহো। সত্যি বলতে কি পিছিয়ে পড়লেও সমতা ফেরানোর মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আবাহনী। ৭১ মিনিটে ডরিয়েলটন গোমেজ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবারও বল জোগান দেন রাকিব। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে রবসনের ফ্রিকিক ধরতে গিয়ে আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের হাত থেকে বল ফঁসকে যায়। সামনে বল পেয়ে যান কিংসের ইব্রাহিম। তিনি বল জালে পাঠালে ৩-০ গোলে জয়ী হয়ে কিংস মাঠ ছাড়ে। স্বাধীনতা কাপে ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন। লিগের দ্বিতীয় লেগে পরাজিত করে কিংস টানা পঞ্চম শিরোপা নিশ্চিত করে। দেখা যাক, ফেডারেশন কাপেও একই পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না?

সর্বশেষ খবর