মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপরিচিত খেলা ক্রিকেট। জনপ্রিয়তায় বাস্কেটবল, বেসবল, ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, সকারের আশপাশে নেই ক্রিকেট। ক্রিকেট বিশ্বায়নের পরিকল্পনায় টি-২০ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেয় আইসিসি। যৌথ আয়োজকের আরেক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে ‘ডি’ গ্রুপে। টাইগাররা চার খেলার দুটি যুক্তরাষ্ট্রে এবং দুটি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে। শুধু বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ডালাসে এবং দুটি আইসিসির অফিশিয়াল ওয়ার্ম আপ ম্যাচও খেলবে যুক্তরাষ্ট্রে। খেলাগুলো হবে অচেনা, অপরিচিত মার্কিন উইকেটে। ওয়ার্ম আপ ম্যাচ দুটির একটির আবার প্রতিপক্ষ ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত। খেলা হবে বিশ্বকাপের জন্য নতুন তৈরি নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ খেলতে টাইগাররা পরশু মধ্য রাতে ঢাকা ছাড়েন। আজ ভোর রাতে ডালাস পৌঁছানোর কথা নাজমুলদের।
২০ ওভারের বিশ্বকাপের নবম আসরের জন্য টাইগাররার প্রস্তুতি একেবারে কম হয়নি। ভারতীয়রা প্রস্তুতি নিচ্ছে আইপিএল খেলে। নাজমুল বহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলে। এর আগে বিপিএল খেলেছে। টাইগার কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন দলের প্রস্তুতিতে, ‘আমার মনে হয় প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। চট্টগ্রামের ক্যাম্পটি ভালো ছিল। জিম্বাবুয়ে সিরিজের ৫ ম্যাচে অনেককেই ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলিয়ে দেখেছি। কিছু কিছু জায়গা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে।’ শুধু ঘরের মাটিতে সিরিজ খেলে নয়, ২১, ২৩ ও ২৫ মে মার্কিনিদের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চের প্রস্তুতি শুরু হবে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলভুক্ত করেছে নিউজিল্যান্ডের সবেক অলরাউন্ডার কোরে অ্যান্ডারসনকে। এমন দলের বিপক্ষে খেলে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের বাংলাদেশের যে দুটি ম্যাচ মার্কিনি উইকেটে, তাতে ডালাসের উইকেটের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলে মানিয়ে নেবেন নাজমুল, সাাকিব, মাহমুদুল্লাহরা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। সবগুলো উইকেটই অপরিচিত। প্রতিপক্ষের চেয়ে উইকেট অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।
নিউইয়র্ক শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ‘মডুলার’ স্টেডিয়াম। বুধবার স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রথম ম্যাচের সাক্ষী হবে দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত। আইসিসি ওয়ার্ম ম্যাচের ফিকশ্চার ঘোষণা করেনি। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে ১ জুন মাঠটিতে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। ২ জুন বিশ্বকাপ শুরু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচ দিয়ে। বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ হবে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৩ জুন মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ জুন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান খেলবে পরস্পরের বিপক্ষে। টি-২০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে হেভিওয়েট ম্যাচ বলা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীর লড়াইকে। ১০ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মাঠের খেলাগুলোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘ড্রপ-ইন উইকেট’। ১০টি উইকেট তৈরি করেছে অ্যাডিলেড ওভাল টার্ফ সলিউশন্স।’ ২০টির বেশি সেমি-ট্রেইলর ট্রাকে ১ হাজার ২০০ মাইল বা ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পিচগুলো আনা হয়েছে নিউইয়র্কে।