বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাওয়ার প্লেতে আরও ইতিবাচক হওয়া উচিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাওয়ার প্লেতে আরও ইতিবাচক হওয়া উচিত

সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে যে কোনো ফরমেটের প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ রয়েছে বাংলাদেশের। পচা শামুকে পা কাটার অতীত রেকর্ডও রয়েছে। আইসিসি সহযোগী দেশ কেনিয়া ও কানাডার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভিষেক ম্যাচে হারল এবার বাংলাদেশ। হেরেছে হংকং, নেদারল্যান্ডসের কাছেও। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর কাছে হারের অভ্যস্ততা আছে টাইগারদের। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপের আগে অভিবাসীদের দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ উইকেটের হার কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান কোনোভাবেই এ হার মেনে নিতে পারেননি। সাবেক টাইগার অধিনায়কের মতে ক্রিকেট দলের আরও ইতিবাচক খেলা উচিত ছিল, ‘আমার মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতায় ব্যাটিং করতে হবে। বিশেষ করে জিততে হলে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ইতিবাচক ব্যাটিং করে বড় স্কোর গড়তে হবে।’ ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান করেছিল টাইগাররা। টি-২০ ক্রিকেটে যেখানে ২০০-২৫০ রান হচ্ছে অনায়াসে। সেখানে ১৫৩ রান করে জয়ের স্বপ্ন দেখা একটু বেশিই! স্বাগতিকরা ৩ বল হাতে রেখে সহজেই জিতেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট অপরিচিত টাইগারদের। যদিও ২০১৮ সালে লডারভিলে দুটি টি-২০ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেবার জিতেছিল। ওই দলের পাঁচ ক্রিকেটার খেলছেন এবার। অধিনায়ক নাজমুলসহ ১০ ক্রিকেটার প্রথমবার দেশটিতে সফর করছেন। অপরিচিত হলেও টেস্ট খেলুড়ে দেশের পেশাদার ক্রিকেটার নাজমুলরা। এমন একটি দলের তারকা ক্রিকেটাররা মাত্র ১৫৩ রান করবেন? টি-২০ ক্রিকেটে স্কোর অনেক কম বলেন আকরাম, ‘১৫৩ রান করে জেতা সম্ভব নয়। একসময় তো মনে হয়েছিল, এ স্কোরই হবে না। শেষ দিকে একটু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এ রান ওঠে।’ অধিনায়ক নাজমুলও ম্যাচ হারের পর বলেন, ‘আমাদের ২০ রান কম হয়েছে।’ টাইগাররা স্কোর করেছে হৃদয়ের ৪৭ বলে ৫৭ এবং ৩৮ বছর বয়সি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২২ বলে  ৩১ রানে। ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল, ওপেনার লিটন, সাকিব। ছন্দে নেই লিটন। ১৫ বলে ১৪ রান করেন। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই। গত ডিসেম্বরে নেপিয়ারে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। আকরাম বলেন, ‘যেসব ক্রিকেটার ফর্মে থাকে না, তারা টি-২০ খেলে ফর্মে ফিরতে পারে না। লিটনের উচিত ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলে ছন্দে ফেরা। লিটনকে আরও এক ম্যাচে সুযোগ দেওয়া উচিত।’

পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান, প্রথম ১০ ওভারে ৬৫ রান ওঠে। শেষ ১০ ওভারে রান ওঠে ৮৬। শেষ ৫ ওভারে ৫১ রান। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও ব্যর্থ টাইগার বোলাররা। ওভারপ্রতি ৭.৬৫ স্ট্রাইক রেট আটকানো সম্ভব হয়নি বোলারদের। বিশেষ করে দুই পেসার শরিফুল ও মুস্তাফিজুর কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। দুজনে ৮ ওভারে রান দিয়েছেন ৭২। ডট নিয়েছেন মাত্র ২০টি। যদিও উইকেট নিয়েছেন ৩টি। স্পিনার শেখ মেহেদি, সাকিব, রিশাদও আলাদা নজর কাড়তে পারেননি।

সর্বশেষ খবর