শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

তানজিম তাসকিনের দুরন্ত বোলিং

আসিফ ইকবাল

তানজিম তাসকিনের দুরন্ত বোলিং

এইডেন মার্করামকে বোল্ড করার পর ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সতীর্থরা। গতকাল নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন উইকেটে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের। -ক্রিকইনফো

সিমিং অলরাউন্ডার মেহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে শেষ মুুহূর্তে বাদ দেয় নির্বাচক প্যানেল। তার জায়গায় টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে নিয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিবকে। যুব বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের পেসারকে দলে নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে চারদিকে। তানজিমকে দলভুক্তির ব্যাখ্যা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। জানান লড়াকু মেজাজের জন্যই ডানহাতি পেসারকে নেওয়া হয়েছে। তানজিমের অন্তর্ভুক্তি যে সঠিক ছিল, সেটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রমাণ দেন। গতকাল নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ‘ড্রপ-ইন’ উইকেটে তার অন্তর্ভুক্তির যৌক্তিকতা প্রমাণ করেন। প্রমাণ করেন তাকে নেওয়াটা ভুল করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। ক্রিকেট পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারের ব্যাটিং লাইনকে যেভাবে ধসিয়ে দেন, তাতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে। শুধু তানজিম নয়, তাসকিন আহমেদ অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাকে যৌগ্য সাহচার্য দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাসকিন ২ উইকেট নিলেও মুস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য। তারপরও তিনি ছিলেন দারুণ মিতব্যয়ী। দারুণ বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

একাদশের তিন পেসার দুরন্ত বোলিং করেন। ড্রপ-ইন উইকেটের সব ধরনের সুবিধা আদায় করে নেন তিন পেসার। তানজিম দুই স্পেলে ৪ ওভারে ১৮ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট প্রথম ৩ ওভারে। প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষে তানজিমের স্পেল ৪-০-১৮-৩। ডট নিয়েছেন ১৭টি। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন বোলারদের। তাসকিন প্রথম স্পেলে ৩ ওভার বোলিংয়ে উইকেট নেন মার্করামের। পরের ওভারে এসে জুটি ভাঙে হেনরিক ক্লাসেন-ডেভিড মিলার জুটিকে। দলীয় ১৭.৩ ওভারে ১০২ রানের মাথায় তাসকিনের বলে বোল্ড হন ক্লাসেন। ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ২ চার ও ৩ ছক্কায়। তাসকিনের স্পেল ৪-০-১৯-২। ডট নেন ১৪টি। মিলারকে সাজঘরে ফেরান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। প্রথম ৩ ওভারের স্পেলে উইকেটশূন্য ছিলেন। চতুর্থ ওভারে আউট করেন মিলারকে। তার স্পেল ৪-০-৩২-১। ১০টি ডট নেন। ২টি করে চার ও ছক্কা খান রিশাদ। মুস্তাফিজ কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। তার স্পেল ৪-০-১৮-০। ডট নিয়েছেন ১৬টি। ১টি করে চার ও ছক্কা খেয়েছেন মুস্তাফিজ, তাসকিন ও তানজিম। কোটা পূরণ করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাত্র ১ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৬টি। একেবারেই ছন্দে নেই দেশসেরা ক্রিকেটার। একটি ডট নিতে পেরেছেন। সাকিবের কোটা পূরণ করেন মাহমুদুল্লাহ। বাকি ৩ ওভার বোলিং করেন ৩৯ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার। তার স্পেল ৩-০-১৭-০। ডট নেন ৮টি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে নাজমুলবাহিনী অতিরিক্ত রান দেয় ৭। ৩টি লেগ বাই ও ৪টি ওয়াইড। ডট বল নেয় মোট ৬৬টি। ১২০ বলের ইনিংসে অর্ধেকের বেশি ডট নেন টাইগার বোলাররা। টাইগার বোলাররা এতটাই মিতব্যয়ী ছিলেন যে, ৬ ওভারের স্পেলে রান দেন ২৫। উইকেট নেন ৪টি। এরপর ১০ ওভারে রান দেন ৪ উইকেটে ৫৭। ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৪ রান। শেষ ৫ ওভারে প্রোটিয়ারা রান করে ২৯। সব মিলিয়ে তানজিম, তাসকিন, মুস্তাফিজরা নাসাউয়ের ‘ড্রপ-ইন’ উইকেটের সুবিধা আদায় করে নেন শতভাগ। বহুদিন এমন আগ্রাসি মেজাজে বোলিং করতে দেখা যায়নি টইগার বোলারদের।

সর্বশেষ খবর